promotional_ad

অসন্তোষ গাভাস্কার, টেলর বলছেন সব পিচই ‘বাজে’

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

শিরোপার দৌড়ে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে রাখছেন গাভাস্কার

৩ মে ২৫
শিরোপার দৌড়ে বেঙ্গালুরুকেই এগিয়ে রাখছেন সুনীল গাভাস্কার, ফাইল ফটো

ভারতের মাটিতে টেস্ট মানেই যেন আলোচনা-সমালোচনা। মাঠের ক্রিকেটের তুলনায় বেশি আলোচনা হয় রোহিত শর্মাদের দেশের পিচ নিয়ে। এবারও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। নাগপুর, দিল্লি পেরিয়ে ইন্দোর টেস্ট, সবখানেই আলোচনার শীর্ষে ছিল উইকেট। সোয়া দুদিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় তিন ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে ইন্দোরের উইকেটকে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুনীল গাভাস্কার। এদিকে মার্ক টেলর মনে করেন শুধু ইন্দোর নয়, ভারতের সব উইকেটই নিম্নমানের।


টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দুদিনে মূলত খানিকটা সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যাটাররা। বাড়তি সুবিধা থাকে নতুন বলে যারা বোলিং করেন তাদের জন্যও। তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে গিয়ে আস্তে আস্তে টার্ন পেতে থাকেন স্পিনাররা। টেস্ট ক্রিকেটের আদর্শ উইকেটের চিত্র হয়ে থাকে মোটামুটি এমনই। তবে ভারতের উইকেট বরাবরই বিপরীত। নাগপুর, দিল্লি আর ইন্দোর, তিন টেস্টের প্রথম দিন থেকেই স্পিনাররা টার্ন পেয়েছেন।


বাড়তি সুবিধায় স্পিনাররা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ। সবশেষ ইন্দোর টেস্টের দুদিনে পড়েছে ৩০ উইকেট। যার বেশিরভাগ উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা। ফলে মাত্র সোয়া দুদিনে শেষ হয় তৃতীয় টেস্ট। ইন্দোর ডিমেরিট পয়েন্ট পাবেন এটা খানিকটা অনুমেয় ছিল টেলরের। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সঙ্গে আলোচনায়, ভারতের সব পিচকে নিম্নমানের বলেছেন তিনি।


promotional_ad

এ প্রসঙ্গে টেলর বলেন, ‘আমি ইন্দোরের পিচকে দেওয়া রেটিংয়ের সঙ্গে একমত। সত্যি বলতে আমার মতে, পুরো সিরিজের পিচগুলোই ছিল নিম্নমানের। তিনটির মধ্যে ইন্দোরের পিচ ছিল সবচেয়ে বাজে। আমার মনে হয় না, প্রথম দিন থেকেই উইকেট এতটা ভয়ংকর হওয়া উচিত।’


‘চতুর্থ কিংবা পঞ্চম দিনে এমনটা হলে মানা যায়, যদি ম্যাচ অতটা দীর্ঘ হয়। কিন্তু প্রথম দিন থেকে অবশ্যই নয়, এটা স্রেফ বাজে ব্যাপার। আমার চোখে, ইন্দোরের পিচ খুবই বাজে ছিল এবং এটাকে সে অনুযায়ী রেটিং দেওয়া উচিত।’


টেলরের কথার সঙ্গে অবশ্য একমত নন গাভাস্কার। ইন্দোরকে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া যে ঠিক হয়নি সেটার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্টের উদাহরণ দিয়ে। সবশেষ ডিসেম্বরে ব্রিসবেন টেস্ট শেষ হয়েছিল মাত্র দুদিনে। খেলা হয়েছিল ১৪৫ ওভারেরও কম। ব্রিসবেনকে সেসময় কত ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক এই ব্যাটার।


গাভাস্কার বলেন, ‘একটা বিষয় জানতে চাই। নভেম্বর (ডিসেম্বর) মাসে ব্রিসবেনে একটা টেস্ট হয়েছিল। সেই টেস্টও কিন্তু দুদিনের মধ্যেই শেষ হয়েছিল। ওই টেস্টের ম্যাচ রেফারি কে ছিলেন, ব্রিসবেনের উইকেটকে কত ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল? আমার মনে হয়, তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়াটা ঠিক হয়নি।’


মার্নাস ল্যাবুশেন ও উসমান খাওয়াজার ৯৬ রানের জুটির প্রসঙ্গ টেনে গাভাস্কার বলেন, ‘এই পিচে বল বাঁক খেয়েছে, কিন্তু তা ভয়ংকর ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিচ ভালো হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাওয়াজা ও মার্নাস ল্যাবুশেন ৯৬ রানের জুটি গড়েছিল। পিচ খেলার অযোগ্য হলে এই জুটি গড়া সম্ভব হতো না।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball