শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় কলকাতাকে জেতালেন রিঙ্কু

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাঞ্জাবকে গুঁড়িয়ে আইপিএল ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু
১৩ ঘন্টা আগে
আগের তিন ওভারে বোলিং করতে এসে কলকাতার ব্যাটারদের তোপের মুখে পড়েছিলেন রশিদ খান। প্রথম তিন ওভারে তার খরচা ছিল ৩৫ রান। নিজের শেষ ওভার করতে এসে একে একে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন রশিদ। তাতে ম্যাচের লাগাম ঠিকঠাকই টেনে ধরেছিলেন গুজরাটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
ম্যাচ জেতার খুব কাছেও ছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ ওভারে কলকাতার ২৯ রানের সমীকরণ মিলিয়ে যেন সব ওলটপালট করে দিলেন রিঙ্কু সিং। ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে তাকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। পরের পাঁচ বলে দয়ালকে টানা পাঁচ ছক্কায় কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিঙ্কু। কলকাতার এই ব্যাটা??? ২১ বলে ৪৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। কলকাতা ম্যাচ জিতে যায় ৩ উইকেট হাতে রেখে।
এই এক ওভারেই আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলারদের তালিকায় নাম উঠে গেছে দয়ালের। তিনি ৪ ওভারে খরচা করেছেন ৬৯ রান। তার চেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ড আছে কেবল বাসিল থাম্পির। তিনি ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এই রান খরচা করেছিলেন।

আইপিএলে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা মারা পঞ্চম ব্যাটার হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন রিঙ্কু। এ ছাড়া আইপিএলে শেষ ওভারে এতো রান নিয়ে জেতেনি আর কোনো দল। এর আগে শেষ ওভারে সর্বোচ্চ ২৩ রান নিয়ে জয়ের রেকর্ড ছিল রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্ট। সেটাও ২০১৬ সালে।
‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ ছিল’
২৬ মে ২৫
এই ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের দেয়া ২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি কলকাতা। তারা শুরুতেই হারায় ওপেনার নারায়ণ জগদিশানকে। এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে কলকাতার ইনিংস টানছিলেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। যদিও গুরবাজ ১৫ রান করে ফিরে গেলে আবারও শঙ্কায় পড়ে কলকাতা।
এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নীতিশ রানাকে নিয়ে একশ রানের জুটি গড়েন ভেঙ্কাটেশ। রানা আউট হয়েছেন ২৯ বলে ৪৫ রান করে। খানিক বাদে ভেঙ্কাটেশ ৪০ বলে ৮৩ রান করে আউট হলে কলকাতার জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে। এরপর রশিদের হ্যাটট্রিকে এলোমেলো হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস।
অবশ্য শেষদিকে ২১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে কলকাতাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রিঙ্কু সিং। রশিদের ৩ উইকেট ছাড়াও গুজরাটের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও জশুয়া লিটল।
এর আগে সাই সুদর্শনের ৩১ বলে ৫৩ ও বিজয় শঙ্করের অপরাজিত ২৪ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় পুঁজি নিশ্চিত করে গুজরাট। ৩১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার শুভমান গিলও। কলকাতার হয়ে ৩টি উইকেট নেন সুনীল নারিন। একটি উইকেট পান সুয়াশ শর্মা।