promotional_ad

রান বন্যার ম্যাচে শেষ বলের রোমাঞ্চে জিতল লক্ষ্ণৌ

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

পাঞ্জাবকে গুঁড়িয়ে আইপিএল ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু

১৩ ঘন্টা আগে
ম্যাচের সেরা বোলার জস হ্যাজেলউডের সঙ্গে বিরাট কোহলি, ফাইল ফটো

জিততে হলে শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ছিল ৫ রান, হাতে ৩ উইকেট। এমন সমীকরণে ম্যাচ লক্ষ্ণৌয়ের হাতের মুঠোয় ভেবে অনেকে উঠে দাঁড়ালেও রোমাঞ্চের ছিল বাকি। দ্বিতীয় বলেই মার্ক উডকে বোল্ড করে ফেরান হার্শাল প্যাটেল। পরের বলে দুই আর এর পরের বলে এক।


দুই বলে এক রানের সমীকরণেও এগিয়ে ছিল লক্ষ্ণৌ। তবে পঞ্চম বলে জয়দেব উনাদকাট আউট হয়ে গেলে শুরু হয় শেষ বলের নাটকীয়তা। হাতে ১ উইকেট, জিততে দরকার ১ রান। ডেলিভারি না করে রান আউটের চেষ্টাও করেছিলেন হার্শাল। তবে ঠিকঠাক করতে পারেননি।


শেষ বলেও রান আউটের সুযোগ ছিল কিন্তু বল ঠিকঠাক ধরে থ্রো করতেই পারলেন না দীনেশ কার্তিক। ভোঁ দৌড়ে রান পূরণ করে ততক্ষণে উৎসবে মেতেছেন আভেষ খান-রবি বিষ্ণইরা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দেয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে লক্ষ্ণৌ জয় নিশ্চিত করল মাত্র ১ উইকেটে।


বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে শূন্য রান করে ফেরেন কাইল মেয়ার্স। এরপর দলীয় ২৩ রানে লক্ষ্ণৌ হারায় আরও দুই ব্যাটারকে। এক বলের ব্যবধানে ওয়েইন পার্নেল ফেরান দীপক হুডা (৯) ও ক্রুনাল পান্ডিয়াকে (০)।


promotional_ad

এরপর লোকেশ রাহুলকে সঙ্গ দিতে আসেন মার্কাস স্টইনিস। নেমেই ব্যাট হাতে মারমুখী হন এই অজি অলরাউন্ডার। তিনি মাত্র ৩০ বলে ৬৫ রান করে কর্ন শর্মার শিকার হন। স্টইনিস যখন বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন রাহুল ছিলেন অন্যপ্রান্তে দর্শক হয়ে। 


১০ ওভারের বেশি উইকেটে থেকেও তিনি ব্যাট হাতে তোলেন মাত্র ২০ বলে ১৮ রান। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়েছেন সিরাজ। এরপর নিকোলাস পুরান ঝড় তোলেন। তিনি মাত্র ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এবারের আইপিএলে যা সবচেয়ে দ্রুততম।


অবশ্য লক্ষ্ণৌকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। তিনি ১৯ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার। আয়ুস বাদনি ২৪ বলে ৩৩ রান করে হিট আউট হলে লক্ষ্ণৌয়ের জয় পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। 


শেষদিকে মার্ক উড (১) আর জয়দেব উনাদকাটকে (৯) ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন হার্শাল। যদিও ইনিংসের শেষ বলে বাই রান নিয়ে লক্ষ্ণৌকে জেতান আভেষ।


এর আগে এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। শুরু থেকেই লক্ষ্ণৌয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তিনি রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন দলটির বোলারদের। অন্যপ্রান্তে ফাফ ডু প্লেসি অবশ্য ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ।


কোহলি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন ৩৫ বলে। সেই সময় ডু প্লেসির রান মাত্র ২০। কোহলি শেষ পর্যন্ত অমিত মিশ্রকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মার্কাস স্টইনিসের হাতে। ফলে শেষ হয় তার ৪৪ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস।


এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে রান বাড়িয়েছেন ডু প্লেসি। কোহলি ফেরার পর তিনি কিছুটা হাত খুলে খেলেছেন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে দুজনে চড়াও হয়েছিলে রবি বিষ্ণইয়ের ওপর। তিন ছক্কায় সেই ওভারে তারা নেন ২২ রান। এর মধ্যে কাউ কর্নার দিয়ে ডু প্লেসি একটি ১১৫ মিটারের ছক্কা হাঁকান।


সেই ছক্কায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ছাদ পেরিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। হাফ সেঞ্চুরি পেতে ডু প্লেসি খেলেছেন ৩৬ বল। ১৯ তম ওভারে আভেষ খানকে টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল।


শেষ ওভারে মার্ক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৯ রান করেন তিনি। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারের মার। ডু প্লেসি অপরাজিত থাকেন ৪৬ বলে ৭৯ রান করে। ইনিংস জুড়ে ৫টি করে ছক্কা ও চারের মার মেরেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball