জিম্বাবুয়েতে ফেরার পর আচমকা অবসরে ব্যালান্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন ভাবনা থেকেই নিজ জন্মভূমি জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিলেন গ্যারি ব্যালান্স। ইংল্যান্ড থেকে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে একমাত্র টেস্ট খেলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন ইতিহাসেও। তবে আনন্দঘন এসব মুহূর্ত দীর্ঘ হলো না। আচমকা ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
মাসখানেক আগে বুলাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি পান ব্যালান্স। যা জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম হলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তার। এই সেঞ্চুরির কারণে কেপলার ওয়েসেলসের পর দুই দেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার বনে যান তিনি।
এরপর ২৫ মার্চ শেষ হওয়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও খেলেন ব্যালান্স। সিরিজের শেষ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। সেটিই হয়ে থাকল ব্যালান্সের শেষ পেশাদার ম্যাচ।
ব্যালান্সের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, পেশাদার ক্রিকেট খেলতে আর আগ্রহ পাচ্ছেন না তিনি। নিজের বিদায়ী বার্তায় ব্যালান্স ধন্যবাদ জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডসহ দেশটির ভক্ত-সমর্থকদের।
প্রফেশনালস ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) মাধ্যমে দেয়া এই বিবৃতিতে ব্যালান্স বলেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনার পর আমি সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেটি এখন থেকেই কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, জিম্বাবুয়েতে যাওয়ার পর এই খেলাকে ঘিরে নতুন করে আনন্দ পাব আমি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া ও তাদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য ক্রিকেট জিম্বাবুয়ের প্রতি আমি সব সময়ই কৃতজ্ঞ থাকব। তবে আমি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছি, যখন পেশাদার ক্রিকেটের কঠিন কাজে নিজেকে নিবেদিত করার উৎসাহ নেই আর। এরপরও খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ও খেলাটির প্রতি অন্যায় করা হতো।’
২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ব্যালান্সের। দুই দেশ মিলিয়ে তিনি খেলেছেন ২৪টি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে এবং একটি টি-টোয়েন্টি। এর মধ্যে একটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেন জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ২০১৭ সালে খেলতে দেখা জায় তাকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে।
পেছন ফিরে তাকিয়ে অনেককেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্যালান্স, ‘ক্রিকেটে অসাধারণ স্মরণীয় কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরেছি। ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার চূড়ান্ত সম্মান পেয়েছি। আমার ক্লাব, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, সতীর্থ, সমর্থক সবাইকে তাদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।’
আরো পড়ুন
ইংল্যান্ড সিরিজে জিম্বাবুয়ের কোচিং স্টাফে ব্যালান্স
৭ মে ২৫
