১২ হাজার কোটিতে ৭১ ম্যাচের মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করতে চায় বিসিসিআই

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রস্তাব পেলে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হতে রাজি জাদেজা
১৮ ঘন্টা আগে
২০২৩-২৭ সালের চক্রে ঘরের মাঠে ২০ টেস্ট, ২১ ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। চার বছরে হতে যাওয়া ৭১ ম্যাচের মিডিয়াস্বত্ব থেকে ১২ হাজার কোটি আয়ের আশা করছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এত টাকা আয় করতে পারবে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
কদিন আগে রেকর্ড প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিসিআই। এবার বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের ম্যাচের মিডিয়াস্বত্ব বিক্রিতে মনোযোগ তাদের। টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের মিডিয়াস্বত্ব আলাদাভাবে বিক্রি করতে চায় রজার বিনির বোর্ড।

যদিও ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা হারিয়ে যাওয়ায় সেটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ ৫০ ওভারের ক্রিকেট দর্শক টানতে পারছে না। অনেকের ধারণা, আগামী চার বছরে ১০ হাজার কোটি আয় করতে পারে বিসিসিআই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইনসাইডস্পোর্টকে একজন বিশেষজ্ঞ।
এশিয়া কাপ না খেলার গুঞ্জন উড়িয়ে দিল ভারত
১৯ মে ২৫
তিনি বলেন, ‘দেখুন, ওয়ানডে আর দর্শক টানছে না। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে অনেক উন্মাদনা থাকবে, ভারতে হচ্ছে বলে দর্শকও থাকবে। তবে সব মিলিয়ে এটি বড়সংখ্যক দর্শক টানতে পারছে না। পরের চার বছরে দেশের মাটিতে ২১টির বেশি ওয়ানডে, বিসিসিআইয়ের তাই ১০ হাজার কোটির বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।’
২০১৮ সালে ৬১৩৮ কোটি রুপিতে টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিসিআই। এবারের চক্রে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে দুবার করে খেলবে ভারত। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খেলবে তারা।
কোহলি ও রোহিতদের অনুপস্থিতির কারণে ১২ হাজার কোটি টাকাকে বিসিসিআইয়ের বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন এক ব্রডকাস্টার। কোহলি ও রোহিত না থাকলে দর্শক কমে যাবে বলে মনে করেন তারা। এক ব্রডকাস্টার, ‘আমাদের বুঝতে হবে, বিসিসিআই যে সংখ্যাই ঠিক করুক না কেন, এটি চার থেকে পাঁচ বছর সময়ে। ফলে, বিশ্বকাপের পরবর্তী সময়টাও বিবেচনায় আনতে হবে।’
‘বিরাট, রোহিতরা তিন সংস্করণই চালিয়ে যাবে কি না, সেটি তর্কসাপেক্ষ। এ দুই তারকাকে ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই দর্শক কমে আসবে??? যদি ধরেও নেওয়া হয়, ২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তারা খেলবে, এরপরও পালাবদল আসবে। ফলে, ১২ হাজার কোটির প্রত্যাশা একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।’