টানা চতুর্থ ম্যাচে কলকাতার হার, বৃথা গেল রয়-রিঙ্কুর লড়াই
ছবি: সংগৃহীত
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাঞ্জাবকে গুঁড়িয়ে আইপিএল ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু
১৩ ঘন্টা আগে
চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের শেষদিকে পেশির চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল জেসন রয়কে। এর ফলে তার ব্যাটিংয়ে নামা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে রয়ের পরিবর্তে সুনীল নারিনকে ওপেনিংয়ে প্রমোশন দেয়া হয়। তবে তিনি দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন শূন্য রানে।
এর আগে প্রথম ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্স হারায় আরেক ওপেনার নারায়ণ জগদিশানকে। দলীয় ১ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ভেঙ্কাটেস আইয়ার ও নিতিশ রানার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কলকাতা। যদিও এই দুজনে ৪৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি।
আইয়ার ২০ বলে ২০ রান করে ফেরেন। রানা আউট হয়েছেন ২০ বলে ২৭ রান করে। দলের প্রয়োজনে পাঁচ নম্বরে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন রয়। তিনি ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত মাহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে তার ২৬ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ ছিল’
২৬ মে ২৫
মূলত এই ইনিংসের সুবাদেই কলকাতা শুরুর ধাক্কা সামলে কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। এরপর আন্দ্রে রাসেল ৯ ও ডেভিড ভিসে ১ রান করে আউট হলে আর জয়ের কক্ষপথে থাকতে পারেনি কলকাতা। শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই চালিয়েছেন রিঙ্কু সিং। যদিও অন্যপ্রান্তে আর কোনো ব্যাটারই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। নির্ধারিত ২০ ওভারে কলকাতা সংগ্রহ করতে পারেন ১৮৬ রান। ফলে ৪৯ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়ে কলকাতাকে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে হারল নাইটরা। চেন্নাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে ও মাহিশ থিকশানা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশ সিং, মঈন আলী, রবীন্দ্র জাদেজা ও মাথিশা পাথিরানা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। এই দুই ওপেনার মিলেই যোগ করেন ৭৩ রান। রুতুরাজ ৩৫ রান করে ফিরলেও কনওয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫৬ রান করে আউট হন।
এদিন ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তী ধারণ করেছিলেন আজিঙ্কা রাহানে তিনি ২৯ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া শিভম দুবের ২১ বলে ৫০, রবীন্দ্র জাদেজার ৮ বলে ১৮ ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ৩ বলে অপরাজিত ২ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের বড় পুঁজি পায় চেন্নাই। কলকাতার হয়ে ২টি উইকেট নেন কুলাওয়ান্ত খেজরলিয়া। একটি করে উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী ও সুয়াশ শর্মা।
