আইসিসির ইভেন্ট জিতলে ওরা আমাদের ওভাবে মূল্যায়ন করবে: হৃদয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি ইংল্যান্ডে নই, মায়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছি’
১৪ আগস্ট ২৫
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব বিস্তার করতে হলে শিরোপা জয়ের বিকল্প দেখছেন না তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। দ্রুতই বাংলাদেশ আইসিসির শিরোপা জিতবে, এমনটাই প্রত্যাশা তার।
মূলত দেশের ক্রিকেটে ভালো ধরনের সংস্কৃতি তৈরি করতে হলে আইসিসির ইভেন্টে জেতার বিকল্প দেখছেন না হৃদয়। তার মতে, একবার কোনো শিরোপা জিতে গেলে পরবর্তী প্রজন্মও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।
তাওহীদ হৃদয় বলেন, 'আইসিসির ইভেন্ট জেতাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন আমরা আইসিসি ইভেন জিতব তখন আমাদের ওইভাবেই মূল্যায়ন করবে। যেটা এখন হয়ত অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় প্লেয়ারদের মূল্যায়ন করে। আইসিসি ইভেন্টে যখন আমরা ২-১ টা ট্রফি জিতব, তখন আমাদের মানসিক স্বস্তি, আত্মবিশ্বাস এবং পরবর্তী প্রজন্ম যারা আসবে তারাও ওইভাবে সবার মধ্যে তৈরি হবে(আত্মবিশ্বাস)।'

'এই জিনিসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে আমাদের জন্য। শুধু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে বললে হবে না। আমাদের যে প্রক্রিয়াগুলো আছে, ওগুলোর ব্যবহার করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমরা সবাই যদি একসাথে চাই এবং প্রতিদিন একটু করে উন্নতি করতে থাকি ইনশাআল্লাহ আমরা এটা (বিশ্বকাপ) খুব সহজেই পাব।'
রিয়াদ-আশরাফুলদের নিয়ে বিরল সমন্বয় গড়তে চান বুলবুল
১ ঘন্টা আগে
প্রায় দশ মিনিটের এই ভিডিও বার্তায় হৃদয় কথা বলেছেন নিজের খেলার ধরন নিয়েও। দলের প্রত্যাশা মেটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন বলেই জানিয়েছেন হৃদয়। সেক্ষেত্রে দল যদি তার কাছে ডট বল চায়, তাহলে সেটাই চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন হৃদয়।
এদিকে গত বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি হৃদয়। ৬ ম্যাচে মাত্র ১৬৪ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফর্ম্যান্সে সন্তুষ্ট হননি তিনি নিজেও। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারার কারণও জানিয়েছেন হৃদয়।
তিনি বলেন, 'আমি ওপরের দিকে ব্যাট করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় আমার ব্যাটিং পজিশন নিচে নেমে গিয়েছিল। ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। এই পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। তাই সব ম্যাচে প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। এই পজিশনটা এমন যেখানে প্রতিদিন রান করা সম্ভব না'
'দল যেখানে প্রয়োজন মনে করবে, আমি সেখানেই খেলব। দলের যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে ছক্কা মারার চেষ্টা করব। আবার দলের যদি প্রয়োজন হয় তবে আমি ৬ বলই ডট খেলব।'