বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত শেষ টি-টোয়েন্টি, সিরিজ বাংলাদেশের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিং, নেদারল্যান্ডসকে অল্প রানে গুটিয়ে দেয়ার পর সহজ জয়। চিরচেনা চিত্রনাট্যে এক ম্যাচে থাকতেই সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র ৪ জন ব্যাটার ব্যাটিং করতে পারায় প্রশ্নটা উঠছিল জাকের আলী অনিক, তাওহীদ হৃদয়দের ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও টস জিতে ব্যাটিংয়ে বড় রান করার চ্যালেঞ্জ না নেয়ায় সমালোচনা হচ্ছিল স্বাভাবিকভাবেই। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশকে সেই সুযোগটা করে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
সিরিজ হেরেও বিশ্বকাপের ‘ভালো প্রস্তুতির’ তৃপ্তি পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস
৪ ঘন্টা আগে
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে লিটনের ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংসের সঙ্গে সোহান, জাকের, শামীম হোসেন পাটোয়ারিদের ক্যামিও ইনিংসে ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ৩৫ মিনিট পর খেলা শুরু হলেও দ্বিতীয় দফায় থামেনি বৃষ্টি। যার ফলে বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। আগের দুই ম্যাচ জেতায় সিরিজ নিজেদের করে রেখেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের আগে হ্যাটট্রিক সিরিজ জিতলেন লিটনরা।
একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন লিটন ও সাইফ হাসান। তাদের দুজনের ব্যাটে ভালো শুরুর আভাস দিলেও জুটি ভেঙেছে চতুর্থ ওভারেই। কাইল ক্লেইনের লেংথ ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সাইফ। তবে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল স্টাম্পে আঘাত হানলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে ২ চারে ৮ বলে ১২ রান করেছেন সাইফ। ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।

নেতা যখন পারফর্ম করে না, দল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে: লিটন
৪ ঘন্টা আগে
সাইফ ফেরার পর আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ভেস্তে যায়। বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খানিকটা ভুগতে থাকেন। যদিও চেনা ছন্দেই ব্যাটিং করতে থাকেন। ড্যানিয়েল ডোরামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মেরে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ ছুঁয়েই সাকিব আল হাসানের পাশে নাম লিখিয়েছিলেন লিটন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরি করে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিবকে।
বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরির মালিক এখন লিটন। ১১০ ম্যাচে ১৪ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। সাকিব ১৩টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন ১২৯ ইনিংসে। বাংলাদেশের অধিনায়ক স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করলেও ধুঁকছিলেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত টিম প্রিঙ্গলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৯ রান করে। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে থাকলেও সেটা হয়ে উঠেনি।
ক্লেইনের বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় আউট হয়েছেন ম্যাক্স ও’ডাউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন। একই ওভারে আউট হয়েছেন শামীমও। ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ২১ রানে। পরবর্তীতে সোহান ও জাকের মিলে ভালো ফিনিশিংয়ের চেষ্টা করেন। ব্যাট হাতে ভালো শুরুও পেয়েছিলেন। জাকের ২০ ও সোহান ২২ রানে অপরাজিত থাকার সময় আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ— ১৬৪/৪ (১৮.২ ওভার) (সাইফ ১২, লিটন ৭৩, হৃদয় ৯, শামীম ২১, জাকের ২০*, সোহান ২২*)