ক্যারিবিয়ানদের ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইংল্যান্ড!

ছবি: ফাইল ফটো

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনার প্রকোপ কাটিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে ক্রিকেট। জুলাইয়ে গড়াচ্ছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ। যদিও এমন অবস্থায় ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে ঠিক করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এমনটা মনে করছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার এন্ডি রবার্টস।
গত মে মাসে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) ধার দেয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। লম্বা সময় ধরে আর্থিক দুরবস্থায় থাকা ক্যারিবিয়ান বোর্ড এই টাকা দিয়ে স্টাফ ও ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা সামলে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই অবস্থার মাঝেও ইংল্যান্ডে খেলতে যাবার শর্তেই টাকা দিয়ে সাহায্য করে ইসিবি, এমন গুঞ্জন ওঠে ক্রিকেট পাড়ায়। যদিও এসব অভিযোগকে পাত্তা দেয়নি ক্যারিবিয়ান বোর্ড। রবার্টসের মতে, টাকার লোভ দেখিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইংল্যান্ড।

তিনি বলেন, ‘ওখানে (ইংল্যান্ড) যাওয়ার ব্যাপারে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার আপত্তি হলো এই যে বলা হচ্ছে সফর থেকে আর্থিকভাবে কোনো লাভ হবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের তা নিয়ে। আমি মনে করি এটি ভুল।
কারণ আমরা যা করছি তা অন্য কোনও দল করত বলে মনে হচ্ছে না। আমরা কী এমনিতেই ইংল্যান্ডকে ৩.৮ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৪০০ কোটি টাকা) ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি। তারা যদি আমাদের কিছুই না দেয়, কেন আমরা গিনিপিগের মতো নিজেদের সেখানে উৎসর্গ করতে গেলাম?’
করোনাভাইরাসের পরিক্ষা করিয়ে গত ৯ জুন ইংল্যান্ডে পৌছে ক্যারিবিয়ানরা। সিরিজের এক মাস আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছেই তাঁরা ওল্ড ট্রাফোর্ডে চলে গেছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের জন্য।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে দুটো মাঠে, দর্শকশূণ্য অবস্থায়। সেই সঙ্গে অনুসরণ করা হবে আইসিসি প্রদত্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
সিরিজের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে ৮ জুলাই, সাউদ্যাম্পটনে। পরের দুটি টেস্ট হবে ১৬ জুলাই ও ২৪ জুলাই, ল্যাঙ্কাশায়ারে।