আইপিএলের ধারাবাহিক পারফর্মার সাকিব

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতি আসরেই ব্যাট এবং বল হাতে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে আসছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইপিএলের রেকর্ড তাঁর পক্ষেই কথা। টানা ছয় আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। গত আসরে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
ধারাবাহিক পারফর্মেন্স দিয়ে এবারও হায়দ্রাবাদ দলে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। ২৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ১২তম আসর দিয়ে অষ্টমবারের মতো অংশ নিবেন সাকিব।
সাকিবের আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ গত আসরে খেলেছিলেন তিনি, ১৭টি ম্যাচ। ব্যাটে বলে দুই বিভাগেই পারফর্মেন্স করেছেন দুর্দান্ত। ১২১ স্ট্রাইক রেটে ২৩৯ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। বল হাতেও ছিলেন অবিশ্বাস্য। বাঁহাতের ঘূর্ণি জাদুতে ৮ ইকোনমিতে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, যা তাঁর আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

২০১১ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে মাঠে নামেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। সেবার সাতটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল সাকিবের। ব্যাট হাতে ২৯ রান এবং বল হাতে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
২০১২ সালে আবারও কলকাতার হয়ে আইপিএল খেলেন সাকিব। সেই আসরে প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা ঘরে তুলেছিল রাইডার্সরা। সাকিব খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আটটি ম্যাচ। ১৫ গড়ে ৪২ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৬.৫০ ইকোনমিতে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন তিনি।
এরপরের আসরে কলকাতার সাথে চুক্তি শেষ হয়ে গেলে বাকি কোন দলকে সাকিবকে ডাকেনি। ২০১৪ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হন সাকিব, আইপিএলের নিলামে আবারও সাকিবকে দলে নেয় কলকাতা। সেবারও শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল রাইডার্সরা। সেই আসরে ১৩ ম্যাচ খেলেন সাকিব, ব্যাট হাতে ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে নেন ২২৭ রান। যেখানে একটি ৬০ রানের ইনিংস ছিল তাঁর।
বল হাতে ৬.৬৮ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এরপর টানা তিনি বছর কলকাতার হয়ে খেলেন সাকিব। ২০১৫ সালে ৪ ম্যাচ, ২০১৬ সালে ১০ ম্যাচ এবং ২০১৭ সালে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল সাকিবের।
সেই আসর গুলোতে যথাক্রমে ৩৬, ১১৪ এবং ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব। বল হাতে ২০১৫ এবং ২০১৬ আসরে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে চারটি এবং পাঁচটি। ২০১৭ সালে উইকেট শূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।