ন্যানেসের আঘাতে ক্রিকেটের প্রতি ঘৃণা জন্মেছিল পেইনের!

ছবি: ছবিঃ গেটি ইমেজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১০ সালে একটি চ্যারিটি ম্যাচে খেলতে গিয়ে ডার্ক ন্যানেসের বলে ইনজুরিতে পড়েন টিম পেইন। তাঁর ডান হাতের আঙুল ভেঙে যায়। এই ইনজুরি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরাটা সহজ ছিল না অজি উইকেটরক্ষকের। প্রতিনিয়ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এমনকি এক পর্যায়ে ক্রিকেটকেও ঘৃণা করতে শুরু করেন তিনি!
'বাউন্স ব্যাক' নামক অনুষ্ঠানে পেইন বলেন, 'ওই সময়ে আমি ঘুমাতাম না। খেতাম না। খেলার আগে আমি অনেক চাপে থাকতাম। আমার কোনও শক্তিই ছিল না। আমি আমার সঙ্গীর সঙ্গেও ঠিক ছিলাম না, যে কিনা এখন আমার স্ত্রী। আমি তাঁর সঙ্গেও রাগারাগি করতাম।

ক্রিকেট অনুশীলন করা আমার খুব পছন্দের কাজ ছিল। খেলা দেখতেও পছন্দ করি। কিন্তু এমন অবস্থা যখন আসলো, আমি ক্রিকেটকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম। আমার মনে হতো, কিছু করতে গেলেই আমি ব্যর্থ হব।'
পরবর্তীতে সফলভাবেই ক্রিকেটে ফিরেন পেইন। ২০১৮ সালে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বও পান তিনি।
অথচ একটা সময় মানসিক অবসাদে ভোগা পেইনের দুই রান নিতেও ভয় লাগতো! এক স্পোর্টস সাইকোলিজিস্টের সাহায্যে পুরোদমে ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি।
পেইন আরও বলেন, 'আমি যখন আবার খেলা শুরু করতাম তখন সব ঠিকঠাক চলছিল। শুধুমাত্র পেস বোলারদের খেলার সময় আমি ঘাবড়ে যেতাম। যখন কেউ জোরে দৌড় শুরু করতো তখন আমি তাদের কীভাবে খেলব এটা চিন্তা না করে চিন্তা করতাম, 'বোলার আমার হাতে মারবে না তো!''
আমি খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। আমি আমার সব আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। কাউকে আমি এটা নিয়ে বলিনি। আমি দুই রান নিতেও ভয় পেতাম। আমার সঙ্গে কি হচ্ছিল কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।'