ভাগ্যের কাছে হেরে গেলেন বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেয়া প্রাইস

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন রে প্রাইস। ঢাকার মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন জিম্বাবুয়ের এই বাঁহাতি স্পিনার। তাঁর বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এরপর ৪ বল হাতে রেখে ম্যাচটি ২ উইকেটে জিতে নেয় সফরকারীরা। একই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে লিড নেয় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজ দলকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেয়া সেই রে প্রাইস অনেকদিন ধরেই অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন।

সম্প্রতি কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে বর্তমানে এসি সারানোর কারিগর হিসেবে কাজ করছেন ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই খেলোয়াড়। জিম্বাবুয়ের এক সময়কার অন্যতম সেরা এই স্পিনার জীবন যুদ্ধে অনেকটাই বিপর্যস্ত।
ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া এই প্রাইসের দুর্দান্ত বোলিংয়েই তিনবার ধরাশায়ী হয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার। এমনকি ২০১১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও খেলেছেন তিনি। অথচ এখন একেবারেই নিভৃতে জীবন পার করছেন ৪৪ বছর বয়সী এই জিম্বাবুইয়ান।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর একটি খেলার সরঞ্জাম বিক্রির দোকান খুলেছিলেন প্রাইস। খুব একটা লাভবান না হলেও সেই ব্যবসা ছাড়েননি তিনি। তবে সেখান থেকে প্রাপ্ত আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন প্রাইস। সেকারণে এসি সারানোর কাজ শুরু করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ২২টি টেস্ট এবং ১০২টি ওয়ানডে খেলেছেন রে প্রাইস। যেখানে টেস্টে ৩৬.০৬ গড়ে ৮০ উইকেট শিকার করেন তিনি। আর ওয়ানডেতে ৩৫.৭৬ গড়ে তাঁর ১০০ উইকেটের মালিক এই বাঁহাতি। এছাড়া ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৩ উইকেট রয়েছে তাঁর।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ