promotional_ad

অস্ট্রেলিয়ার সমাধান জশ ফিলিপ, বলছেন গিলক্রিস্ট

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম ভরসার নাম ছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন তিনি। তাঁকে ধরা হতো বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হিসেবেও।


সীমিত ওভারে ওপেন করার পাশাপাশি কিপিং করতেন গিলক্রিস্ট। টেস্টে ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করলেও, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে দেয়ার ক্ষমতা ছিল এই অজির। সেই সঙ্গে কিপিংটাও সামলে নিতেন তিনি। দেশের হয়ে ৯৬টি টেস্ট, ২৮৭টি ওয়ানডে এবং ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই অজি অবসরে যান ২০০৮ সালে।


এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্র্যাড হ্যাডিনেই আস্থা ছিল অস্ট্রলিয়ার। হ্যাডিন ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর কিপিংয়ের পাশাপাশি স্কোরবোর্ডে নিয়মিত বড় রান যোগ করতে পারে এমন কাওকে পায়নি অস্ট্রেলিয়ার। 


promotional_ad

মাঝে পিটার নেভিল, অ্যালেক্স ক্যারি বা টিম পেইনদের ওপর আস্থা রাখেলও, তাঁরা সেই আস্থার তেমন প্রতিদান দিতে পারছেন না। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে সাবেক উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এই সমস্যার সমাধান দেখছেন জশ ফিলিপের মাঝে। 


তরুণ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে গিলক্রিস্টের আশা অনেক বড়। ২০১৭ বিগ ব্যাশ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে পা রাখেন ফিলিপ। তবে সাড়া জাগান মূলত গত বিগ ব্যাশের পারফরম্যান্সে। আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৭ রান করেন, প্রায় ১৩০ স্ট্রাইক রেটে। 


সিডনি সিক্সার্সের শিরোপা জয়ে তিনিই ছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। ফিলিপ সীমিত ওভারে ব্যাট করেন টপ অর্ডারেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে। গিলক্রিস্ট অবশ্য এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না। 


ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরুর আগে এই কিংবদন্তি জানালেন ফিলিপের সামর্থ্যে তার প্রবল আস্থার কথা। গিলক্রিস্ট বলেন, 'আমার মতে, একটি ছেলে আমাদের সমস্যার খুব ভালো সমাধান হতে পারে, সেটা এক-দুইয়ে ব্যাট করেই হোক বা মিডল অর্ডারে সুযোগ পেলে, জশ ফিলিপ। জন্ম ও বেড়ে ওঠা পার্থে, ওর বাবাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। ২০ বছর তিনি ওয়াকা মাঠে কাজ করেছেন।'


'খুবই রোমাঞ্চকর তরুণ এক প্রতিভা সে। যদিও এখনও শিখছে, নিজের সম্পর্কে, নিজের সামর্থ্য এবং ম্যাচ পরিস্থিতির মতো ব্যাপারগুলি বোঝার চেষ্টা করছে। তবে যত দ্রুত এই ধরনের ক্রিকেটারদের শীর্ষ পর্যায়ে নামিয়ে দেওয়া যায়, ভয়ডরহীন ক্রিকেট দিয়ে অনেক দলকেই বিপাকে ফেলে দিতে পারে ওরা। এতে ওর আত্মবিশ্বাসও বাড়বে' আরও যোগ করেন তিনি।

মূলত ব্যাটিংয়ের ধরণেই নজর কেড়েছেন ২৩ বছর বয়সী ফিলিপ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১১১.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১৩৮.৩০।  গিলক্রিস্টের মতে, এমন ক্রিকেটারদেরই অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, 'সে দারুণ আগ্রাসী এক তরুণ ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের আগে চার বছর ধরে এই ধরনের ক্রিকেট খেলে ইংল্যান্ড শীর্ষে উঠেছে।'


'নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্যাটিংয়ের ঘরানায় মানসিকতায় যে বদল, যেভাবে তারা সবসময় আক্রমণ করতে চায়। কখনও কখনও সেটা কাজে দেবে না। কিন্তু একটি বার্তা দেওয়া যায়। ফিলিপেরর মতো একজন হতে পারে সেটির অনুঘটক'। যোগ করেন তিনি।


অস্ট্রেলিয়ার চলতি ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ফিলিপকে। তবে এখনই চাওয়া পূরণ হচ্ছে না গিলক্রিস্টের। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ জানিছেন, সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল আস্থা রাখছে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরির ওপরই।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball