ইফতেখার-বাবরে পাকিস্তানের সিরিজ জয়
ছবি: ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে অভিষেক হলেও গত পাঁচ বছরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মোটে ৫ ম্যাচ। ৪ ম্যাচে বল করলেও পেয়েছেন কেবল একটি মাত্র উইকেট। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেন নিজেকে উজাড় করে দিলেন ইফতেখার আহমেদ। ক্যারিয়ারের ৫ম ম্যাচে মাত্র ৪০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি গুড়িয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ।
ব্রেন্ডন টেইলরকে দিয়ে শুরুর পর শেষটা করেছেন টেন্ডাই চিসোরোকে দিয়ে। আর মাঝে ফিরিয়েছেন শন উইলিয়ামস, উইসলি মাদেভেরে ও সিকান্দার রাজাকে। শুরুটা রাঙিয়েছিলেন ইফতেখার আর শেষটা রাঙালেন অধিনায়ক বাবর আজম। জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
তাতে ইংল্যান্ডের মতো আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগটাও শুরু হলো দারুণভাবে। ২০৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও আবিদ আলী। পাওয়ার প্লে ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়েই ৬৮ রান তুলে তারা।

২২ রান করে আবিদ ফিরে যাওয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দুরে থাকতে সাজঘরে ফিরেন ইমাম। অভিষিক্ত হায়দার আলী শুরুটা ভালো করেলও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি। ২৪ রান করে হায়দার ফিরে গেলেও অপরাজিত ৭৭ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন চিসোরো।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দলীয় মাত্র ২৭ রানেই আউট হয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। এরপরে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টেইলর ও উইলিয়ামস।
কিন্তু সেই জুটি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি ইফতেখার। ৩৬ রান করে ফিরেন তিনি। তারপর এক প্রান্তে ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। তাতে মাত্র ২০৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দলের সর্বোচ্চ ৭৫ রান এসেছিল উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে : ২০৬/১০ (ওভার ৪৫.১); (উইলিয়ামস ৭৫, টেইলর ৩৬, ইফতেখার ৫/৪০)
পাকিস্তান : ২০৮/৪ (ওভার ৩৫.২); (বাবর ৭৭*, ইমাম উল হক ৪৯, চিসোরো ২/৪৯)