মিসবাহর মত কোচ আগে পাননি হাফিজ

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনা মহামারীর বিরতি কাটিয়ে নিজেদের যেন হারিয়ে খুঁজছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর তারা হেরেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। সেদেশের সাবেক ক্রিকেটার সহ সকলেই মুন্ডুপাত করছেন কোচ মিসবাহ উল হকের। কিন্তু এমন সময়েই তিনি পাশে পেয়েছেন এক কালের সতীর্থ ও বর্তমান শিষ্য মোহাম্মদ হাফিজকে।
এই বয়সে এসেও পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি একাদশের অন্যতম ভরসার প্রতীক হাফিজ। এমনকি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের মাঝেও হেসেছিলো তাঁর ব্যাট। আর মিসবাহ কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরেই যেন ব্যাটসম্যান হাফিজের পুনর্জন্ম হয়েছে। এ কারণেই মিসবাহর প্রশংসা ঝরেছে হাফিজের কন্ঠে।

এ প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, 'কোচ হিসেবে মিসবাহর সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। অনুশীলনে আমি পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছি। আমার প্রয়োজনের সব সুবিধা পেয়েছি যা আগে কখনোই পাইনি।'
নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। যেখানে তাঁদের প্রাপ্তি কেবল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে কিউদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। কিন্তু এমন ব্যর্থতার পুরো দায়ও কোচকে দিতে নারাজ হাফিজ।
সফলতার ভাগ পুরোটা নিজেরা নিলেও ব্যর্থতার দায় কোচের উপরে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় সাম্প্রতিক সময়ে। যদিও ব্যর্থতার দায় খেলোয়াড়দের নেয়া উচিত বলে মত এই ৪০ বছর বয়সী চির তরুণের।
হাফিজ আরও বলেন, 'আমার মনে হয়ে সাফল্য ব্যর্থতা পুরোটাই আপনার নিজের উপরে নির্ভর করে। আপনি মাঠে ভালো খেলতে না পারলে তাঁর দায়ভার অন্যের উপরে চাপাতে পারেন না। আমি আশা করি খেলোয়াড়রা নিজেদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভুলগুলো সংশোধন করবে। কারণ দিনের শেষে তারাই মাঠে খেলতে নামে।'
হাফিজ তাঁর সাবেক সতীর্থের পাশে এমন সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন, যখন কোচের চেয়ার নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছেন মিসবাহর। তাঁর বিপক্ষে এক প্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেই অবসর নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। একই সঙ্গে বলেছিলেন কোচের করা মানসিক নির্যাতনের কারণেই তিনি বাধ্য হয়ে অবসর নিয়েছিলেন।