ডেথ বোলিংয়ে উন্নতি করে তাসকিন-নাহিদদের বিশ্বমানের বানাতে চান টেইট

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জিকে লম্বা সময় ধরে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শন টেইট

এর আগে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন টেইট। এর বাইরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল), পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এবং ইংলিশ কাউন্টির বিভিন্ন দলের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
২০২৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে টেইট
১২ মে ২৫
সর্বশেষ বিপিএল মৌসুমে চিটাগং কিংসের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন টেইট। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি। অজিদের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণকে ঢেলে সাজাতে চান টেইট। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, ডেথ বোলিংকেই বিশেষ প্রাধান্য দিতে চান। একইসঙ্গে এমনভাবে বোলারদের গড়ে তুলতে চান তিনি, যেন বিশ্বজুড়ে ব্যাটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেন পেসাররা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের খেলার খোঁজখবর রেখেছেন টেইট। নিচে তার পুরো সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: করাচি কিংসের হয়ে পিএসএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শন টেইট: ধন্যবাদ। অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, গতকাল আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি, তবে আমরা ফাইনাল পর্ব পর্যন্ত গিয়েছিলাম, যেটা প্রতিযোগিতামূলক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে আমরা খারাপভাবে হেরেছিলাম, তারপর গত রাতেও বাদ পড়ে গেছি। কিন্তু এটাই খেলাধুলার নিয়ম। সবাই তো জিততে পারে না। করাচি কিংস একটা দারুণ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল, বলার কিছু নেই। সময়টা ভালো কেটেছে, দারুণ কিছু মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: করাচিতে লিটন দাসের সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
টেইট: এটা বলা কঠিন, কারণ আমরা তাকে মাত্র কয়েক দিনের জন্যই পেয়েছিলাম। তবে সে নিঃসন্দেহে দারুণ একজন খেলোয়াড়। এখন সে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, এটা বড় দায়িত্ব। ওর সঙ্গে একবার দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম, তার ইনজুরির আগেই। সামান্য সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি, তাকে কিছুটা চিনেছি। জাতীয় দলে তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি কীভাবে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হলেন?
টেইট: খুব সাধারণ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। সাধারণ একটা আলোচনা-সমঝোতার মধ্য দিয়ে কাজটা হয়েছে। আগেও কয়েকবার সুযোগ এসেছিল, কিন্তু তখন নানা কারণে কাজ হয়নি। এবার সুযোগটা ভালোভাবে মিলে গেল, আমি তখন ফ্রি ছিলাম। তাই সব মিলিয়ে সময়টা সঠিক ছিল।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
টেইট: আমার মনে হয় এখন বাংলাদেশ দলে কয়েকজন আছে যারা ভালো গতিতে বল করতে পারে। তরুণ পেসারদের নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। দলে কিছু প্রতিভাবান ছেলে আছে, আবার কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। মুস্তাফিজ আর তাসকিন এখনও দলে আছে, কাজেই অভিজ্ঞতা আর তরুণদের একটা মিশ্রণ রয়েছে। আমি মনে করি, যেকোনো খেলার দলে, বিশেষ করে ক্রিকেট দলে, এই অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের সংমিশ্রণ একটা দারুণ সূচনা। আমার লক্ষ্য ওদের মৌলিক জিনিসগুলো খুব ভালোভাবে শেখানো। যেটা বিশ্বের সেরা দলগুলো করে। অস্ট্রেলিয়ায় আমি অনেক সময় কাটিয়েছি, অস্ট্রেলিয়া দলে থেকেছি—ওরা সেরা হয়েছে কারণ তারা মৌলিক বিষয়গুলো অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো করত। আমার যদি সুযোগ হয়, যদি আমরা এই বোলিং ইউনিটকে এমন এক জায়গায় নিতে পারি যেখানে তারা আন্তর্জাতিক মানে খুব ভালোভাবে সবকিছু করতে পারে, তাহলে সেটাই সাফল্য। শিখতে হবে সবসময়, কিন্তু জাতীয় দলে এসে এটা চূড়ান্ত ধাপ। উন্নয়ন পর্যায়ের খেলোয়াড়দের জায়গা আলাদা। যখন তুমি জাতীয় দলে থাকবে, তখনই পারফর্ম করতে হবে। উন্নতির জন্য কোচ আছেন, কিন্তু এখানে এসে ভালো বল করতে হবে এবং বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে হবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের পেসাররা ভালো করতে পারছে না কেন?
টেইট: আগে কী হয়েছে সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। সত্যি বলতে আমি খুব একটা চিন্তিতও নই। আমার চিন্তা হচ্ছে কী হতে যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু। এখন সময় হচ্ছে আমি বোলারদের চিনব, ওদের সঙ্গে কাজ করব এবং তাদের আরও উন্নত করব। তোমাদের বাংলাদেশিদের এমন জায়গায় নিতে হবে যাতে অন্য দলগুলো তোমাদের নিয়ে ভয় পায়। এখন তো দলগুলো আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। সেটা আমাদের বদলাতে হবে। আর বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে গেলে তোমাকে সেরা দলগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিতে হবে- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড—এই দলগুলোর সঙ্গে।
তাদের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে মৌলিক জিনিসগুলো একই মানের করতে হবে। এর বিকল্প নেই। আমরা এখনই বলব না যে, আমরা সবাইকে হারিয়ে ফেলব। বরং প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: পরবর্তী দুই বছরের লক্ষ্য কী?
টেইট: র্যাঙ্কিং বা ব্যক্তিগত অর্জন—এইগুলো খেলোয়াড়দের ব্যাপার। তবে যদি আমাদের খেলোয়াড়রা উপরের দিকে যেতে থাকে, তাহলে সেটা দল হিসেবেও আমরা কিছু একটা ঠিক করছি, তার প্রমাণ।

সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশকে এখন ম্যাচ জিততে হবে। বোলিং অবশ্যই তাতে বড় ভূমিকা রাখবে। তাই আমাকে বোলারদের সঙ্গে ভালো কাজ করতে হবে এবং কোচিংটা উপভোগ করতে হবে। তবে এটা আমার ব্যাপার না, বিষয়টা খেলোয়াড়দের।
মিরপুরে ‘ড্র’ করে সিরিজ হার সোহানদের
৪ ঘন্টা আগে
আমি স্বাভাবিকভাবে খুব রিল্যাক্সড, কিন্তু মাঠে আমি অনেক উচ্চ মানের প্রত্যাশা রাখি। আমি চাই ওরা বিশ্বমানের মানসিকতা ও অ্যাপ্রোচ নিয়ে খেলুক। আমি সেটাই নিয়ে আসব।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: উপমহাদেশের পেসারদের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগে?
টেইট: আমি আসলে অনেক সময় উপমহাদেশে কাটিয়েছি। আমার স্ত্রী একজন ভারতীয়, আমি ভারতে অনেক সময় কাটিয়েছি। পাকিস্তান দলের সঙ্গে ১২ মাস কাজ করেছি। শ্রীলঙ্কা লিগেও কাজ করেছি। কিছু কাজ ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াতেও করেছি, তবে উপমহাদেশ আমি সত্যিই উপভোগ করি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত—এই দলগুলোর প্রতিটি ম্যাচই অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, দর্শক, গণমাধ্যম সবার জন্য। অনেক চাপ, অনেক বিশ্লেষণ থাকে। উপমহাদেশে কোনো সিরিজই অবহেলার মতো নয়।
এই কারণেই আমি উপমহাদেশীয় দলগুলোর সঙ্গে কাজ উপভোগ করি, কারণ প্রতিটি ম্যাচ অনেক বড় ব্যাপার। আর এখানেই তো বিশ্ব মঞ্চে নিজের জায়গা করে নিতে হয়।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: উপমহাদেশীয় পেসার আর অন্যান্য দেশের পেসারদের মধ্যে পার্থক্য কী?
টেইট: কন্ডিশনের দিক থেকে পার্থক্য অনেক। উপমহাদেশে স্পিড তোলা সহজ নয়, এটা বাস্তবতা। আপনি চাইবেন হয়তো অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা বা নিউজিল্যান্ডে বল করতে।উপমহাদেশে এটা চ্যালেঞ্জিং। আমিও এখনও শিখছি এই কন্ডিশনগুলো সম্পর্কে। আমি এখানে এসেছি শুধু অস্ট্রেলিয়ান ধারনা চাপাতে না, বরং বাংলাদেশের পেসারদের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সেটা বের করতে।
প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং বিশ্রামটাও। কারণ অনেক সময় উইকেট স্পিন সহায়ক বা খুব ফ্ল্যাট থাকে, সেখানে ফাস্ট বোলিং কঠিন। তাই আমাদের দরকার ফ্রেশ পেসার, যারা গতি ধরে রাখতে পারবে এবং মান ধরে রাখতে পারবে।
এটা পুরো কোচিং টিমের কাজ—ফিজিও, ট্রেইনার, থেরাপিস্ট, ফাস্ট বোলিং কোচ—সবাই মিলে এই পেসারদের বিশ্বমানের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: ইউএই সিরিজ সম্পর্কে আপনার মতামত বলুন...
টেইট: আমি একটু দেখে ছিলাম, কারণ আমি তখন করাচি কিংসের সঙ্গে ছিলাম। একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ধারাবাহিকতা। শুনেছি এটি একটা ক্লিশে, কিন্তু ধারাবাহিকতা এবং বোলিংয়ের মান উন্নয়ন খুব জরুরি।
একটা জায়গায় আমি বিশেষ মনোযোগ দেব ডেথ বোলিংয়ে। এখন তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রচুর হচ্ছে, সামনে এশিয়া কাপ আসছে, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। ডেথ বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেসারদের ডেথ বোলিংয়ে বড় উন্নতি দেখতে পাব।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনার কী ধারনা, বর্তমান পেসাররা আপনার কোচিংয়ে গতি বাড়াতে পারবে?
টেইট: দেখা যাক, এটা নির্ভর করে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ইচ্ছার উপর। কেউ হয়তো ইতোমধ্যে উচ্চ গতিতে বল করছে, আর গতি বাড়ানোর আগ্রহ নাও থাকতে পারে। কারো থাকতে পারে।
আমি যখন দলে যোগ দেব, তখন বোলারদের সঙ্গে কথা বলব। আমি জানি কিভাবে কাউকে উচ্চ গতি ধরে রাখতে সাহায্য করতে হয়। তবে প্রত্যেকজন আলাদা। কোচ আসতে পারে বলবে ‘আমি এটা করব’ বা ‘আমি সেটা করব’, কিন্তু আসলে দল ও হেড কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং যা ভালো হবে সেটাই করব।
কিন্তু কোনো অজুহাত থাকবে না, কোনো খারাপ ফলাফলকে আড়াল করার সুযোগ থাকবে না। ডেথ বোলিং প্রথম অগ্রাধিকার, মান অনেক বেশি উঁচু। পেসারদের গতি যেন খুব বেশি কমে না, সেটা চাই। আশা করি, আমি ওদের সেই মান ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারব।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: কোচ হওয়ার পর বাংলাদেশি পেসারদের সঙ্গে আপনার কোনো আলাপ হয়েছে কি?
টেইট: না, মুস্তাফিজের সঙ্গে বেশি কথা হয়নি, কিন্তু তাসকিনের সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি, আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে।
নাহিদ রানার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয়েছে, তাকে বলেছি ‘আমি তোমাদের দলের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমি রাগী না, আমি ভালো কোচ।’ একটু মজা-আড্ডা হয়েছে।
আমার মনে হয়, কোচ হিসেবে সবচেয়ে জরুরি একটা বিষয় হলো পেসারদের জন্য একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করা। যদি আমি তাদের পক্ষে থাকি, তাহলে তারা ভালো বোলিং করবে। কিন্তু কিছু চমক দেখানোর কথা নয়, সবাইকে বুঝতে হবে কি ভালো তাদের জন্য।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের সঙ্গে পিএসএলে আলাপ-আলোচনা হয়েছে?
টেইট: না, আমি ওদের সঙ্গে বেশিদিন কথা বলিনি। মিরাজের সঙ্গে একটু আলাপ হয়েছিল, আমি তাকে কয়েক বছর আগে চট্টগ্রামে দেখেছি, ওর সঙ্গে সম্পর্ক আছে। বাকিদের সঙ্গে সময় খুব বেশি ছিল না কারণ পিএসএল চলাকালীন অনেক কাজ ছিল।
আমি চট্টগ্রাম কিংসের কোচ ছিলাম, সেজন্য দলের বেশিরভাগ পেসারদের চিনি, দেখা হয়েছে। এটা আমার জন্য ভালো শুরু।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: যারা তরুণ পেসার, কিন্তু জাতীয় দলে নেই, ওদের জন্য কী পরিকল্পনা?
টেইট: যারা দলে ঢোকার প্রান্তে, তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ কেউ আহত হলে বা বিশ্রামে গেলে পরের ২-৩ জন দ্রুত দলে নামতে পারে। পাকিস্তানে কাজ করার সময়ও একই ছিল।
যখন আমরা দীর্ঘ সফরে যেতাম, দল থেকে বাইরের বোলারদের সঙ্গে অনেক সময় গ্রাউন্ডে কাজ করতে হতো। তাই ভালো কোচিং সবসময় শুধু দলের জন্য নয়, বাইরে যারা আছেন তাদের জন্যও প্রয়োজনীয়। আমি এই কাজটায় সময় দিতে চাই।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা দেখতে পেরেছেন কি?
টেইট: না, আমি পাকিস্তানে ছিলাম, করাচি দলের সঙ্গে। তাই আইপিএলে মুস্তাফিজের বোলিং দেখতে পারিনি। কিন্তু শুনেছি ও ভালো বোলিং করছে। তার ব্যাপারে বলব, ও অভিজ্ঞ। হয়তো তরুণদের তুলনায় ওর জন্য বেশি কাজ করার প্রয়োজন নেই। ওর কাছ থেকেও আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। মাঝে মাঝে আমি ওকে কিছু পরামর্শ দিতে পারব। ওর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ আছে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশের পেসাররা কি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যেমন আইপিএল, পিএসএল বা সিপিএলে সফল হতে পারে? যদি পারে, তাহলে এতদিন কেন ভালো সুযোগ পায়নি?
টেইট: অবশ্যই পারে। উদাহরণ হিসেবে নাহিদ পিএসএলে খেলেছে, মুস্তাফিজ আইপিএলে খেলেছে। তাসকিন অবশ্য কিছু ইনজুরিতে ভুগেছে। আমার মনে হয় সেও ভালো সুযোগ পেত। একটা কথা বলব, বাংলাদেশ বেশি ম্যাচ জিতলে আরও বেশি খেলোয়াড় এই লিগগুলোতে সুযোগ পাবে। যেমন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা আইপিএলে বেশি কারণ অস্ট্রেলিয়া দল ভালো। বাংলাদেশ দল যখন ভালো করবে, তখন তাদের খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ বাড়বে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বিপিএল আর পিএসএলের মধ্যে পার্থক্য কী?
টেইট: দুটো আলাদা দেশের লিগ। পিএসএল খুব ভালোভাবে সংগঠিত, সবাই সময়মতো পারিশ্রমিক পায়, ভালোভাবে দেখা হয়। এটা একটি প্রতিষ্ঠিত টুর্নামেন্ট। বিপিএল এখনো কিছু উন্নয়ন দরকার, যাতে এটা আরো বড় ও মজবুত প্রতিযোগিতা হয়। খেলোয়াড়রা ভালো, ট্যালেন্ট আছে, বিদেশিরাও খেলতে আসে। বিসিবিও এটা বোঝে এবং ওরা এটা নিয়ে কাজ করছে।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: চট্টগ্রাম কিংসের পেমেন্ট সমস্যার বিষয়ে কিছু বলবেন?
টেইট: আমি চট্টগ্রাম কিংস নিয়ে কিছু বলতে চাই না, ধন্যবাদ।
ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশি ভক্তদের জন্য কিছু বলবেন?
টেইট: আমি শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ম্যাচ জেতাতে চাই। সেটাই মূল বিষয়। জেতার মাধ্যমে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।
আমি চাই উচ্চ মান বজায় রেখে আরো ম্যাচ জেতা। সেটাই ভক্তদের খুশি রাখবে এবং বিসিবিকে সন্তুষ্ট করবে। এইটাই আমাদের লক্ষ্য।