দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরাল স্পিনাররা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিষেধাজ্ঞা থেকে রাবাদার মুক্তি
৫ মে ২৫
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় দিনের শুরুতে ৭১ রানে পিছিয়ে থাকলেও শেষ বিকালে স্পিনারদের দাপটে ম্যাচে ফিরেছে সফরকারীরা। চতু্র্থ দিনে তাদের প্রয়োজন মাত্র ৪ উইকেট।
আর ২০০ রান লিড নিয়ে আবারো ব্যাট করতে নামবে পাকিস্তান। তৃতীয় দিন শেষে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত আছেন ২৮ রানে। অপর প্রান্তে হাসান আলি আগামীকাল রানের খাতা খোলার চেষ্টা করবেন।
এদিকে দিনের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ২০১ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। দ্বিতীয় দিন ২৪ রানে অপরাজিত থাকা কুইন্টন ডি কক মাত্র ৫ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফাহিম আশরাফের বলে আউট হয়ে যান।
সঙ্গী হারা হলেও টেম্বা বাভুমা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। উইয়ান মুল্ডার কে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় ৩৩ রান করে রান আউটের শিকার হন মুল্ডার। এরপর বাভুমা আবারো জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন।
যদিও ২১ রান করে হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিন্ডে। এরপর এক প্রান্ত আগলে রাখলেও বাভুমাকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ দিকে পরপর দুই উইকেট হারালে এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ফলে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দেয়া ২৭২ রানের জবাবে ২০১ রানেই অল আউট হতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। স্বাগতিকদের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান। এ ছাড়া শাহীন আফ্রিদি, ফাহিম এবং নোমান আলি ১ টি করে উইকেট শিকার ক???েন।
৭১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই স্বাগতিক শিবিরে আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। এরপর আজহার আলি তিন নম্বরে নেমে আবিদ আলিকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন।
দলীয় ২৮ রানের মাথায় ১৩ রান করে আবিদকে ফেরান স্পিনার কেশব মহারাজ। দলীয় অধিনায়ক বাবরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে মহারাজের বলে লিগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ফলে ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।
দলের পক্ষে ভালো ব্যাটিং করলেও ৩৩ রান করা আজহারকে ফেরান আরোক প্রোটিয়া স্পিনার জর্জ লিন্ডে। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফাওয়াদ আলমও লিন্ডের স্পিনে বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১২ রান করে কাঁটা পড়েন তিনি।
মোহাম্মদ রেজওয়ানকে নিয়ে ফাহিম আশরাফ কিছুটা আক্রমণাত্বক খেলার চেষ্টা করেন। শেষ বিকেলে ব্যাক্তিগত ২৯ রানের মাথায় তাকেও এনরিক নর্কিয়ার ক্যাচ বানান লিন্ডে। ফলে ১২৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
এরপর হাসান উইকেটে আসলে আর কোন বিপর্যয় ঘটতে দেননি। প্রোটিয়া স্পিনারদের মধ্যে লিন্ডে ৩ টি এবং মহারাজ ২ টি উইকেট নেন। আর রাবাদার শিকার ১টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান (১ম ইনিংস): ২৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম ইনিংস): ২০১/১০ (৬৫.৪ ওভার) (বাভুমা ৪৪*, ডি কক ২৯, মুল্ডার ৩৩, লিন্ডে ২১; আফ্রিদি ১/৩৭, হাসান ৫/৫৪, ফাহিম ১/২০, নুমান ১/৩৬)
পাকিস্তান (১ম ইনিংস): ১২৯/৬ (৫১ ওভার) (আজহার ৩৩, বাবর ৮, ফাওয়াদ ১২, রিজওয়ান ২৮*, ফাহিম ২৯, হাসান ০*; রাবাদা ১/৪০, মহারাজ ২/৭৪, লিন্ডে ৩/১২)