ক্রিকেটারদের মাঝে জয়ের ক্ষুধা দেখতে চান সুজন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
১৬ মার্চ ২৫
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়েছে তার চেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ক্রিকেটার ছন্নছড়া ব্যাটিং আর ফিল্ডিং নিয়ে।
এ ছাড়া ক্রিকেটারদের মাঝে তেমন জয়ের তাড়নাও পরিলক্ষিত হয়নি। ব্যাটসম্যানরা যেমন ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে, ফিল্ডাররাও নেমেছিলেন ক্যাচ ছাড়ার প্রতিযোগিতায়। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ক্রিকেটারদের মাঝে জয়ের ক্ষুধা দেখতে চান খালেদ মাহমুদ সুজন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন বলেন, ‘আমি জানিনা ওরা উজ্জীবিত নাকি। হয়তো বা নিউজিল্যান্ডে রেজাল্টটা ভালো না হওয়ায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে জিততে পারিনি- একটু হয়তো বা ব্যাকফুটে আছে। তবে সবসময় মনে করি বাংলাদেশ খুবই একটা সক্ষম দল, অবশ্যই আমাদের অনেক খেলোয়াড় নেই, তবে তার মানে এই নয় যে তারা না থাকলে আমরা খারাপ দল। এখনও আমরা ভালো দল।’
খালেদের ছোবলের পর বৃষ্টি ও কেলির দাপট
৩ মিনিট আগে
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে, আমি ওইভাবেই চাই, আমাদের মাঝে একটা স্লোগান উঠতো যে, আমরা টিম বাংলাদেশ। আমি টিম বাংলাদেশকেই দেখতে চাই মাঠে। হারা-জেতা খেলার অংশ, হারতেই পারি। তবে শেষ কামড় দেয়ার মতো একটা কথা থাকে না? যে আমরা পুরো লড়াই করবো, জান প্রাণ দিয়ে খেলবো- ওই মনোভাবটা আমি চাই মাঠে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফলাফল যাই হোক না কেন সেসব নিয়ে ভাবতে চান না সুজন। লঙ্কান সফরে বাংলাদেশের টিম লিডারের দায়িত্ব পাওয়া সুজন মনে করেন, যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। তবে ক্রিকেটারদের মাঝে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার তীব্র বাসনাটা দেখতে চান তিনি।
সুজন বলেন, ‘আমি চাই খেলোয়াড়েরা সেই মনোভাব নিয়ে খেলুক মাঠে। তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলুক। ফলাফল নিয়ে আমি ভাবি না। আমরা ভালো খেললে আমরা জিতবো। ওরা ভালো খেললে ওরা জিতবে। এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, ওই মনোভাবটা আমি মাঠে দেখতে চাই মাঠে যে আমরা জেতার জন্য যে একটি ব্যাকুলতা, একটা লড়াই- সেই লড়াইটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা দেখতে আমাকে টিমে যতটুকু গ্যাস ভরতে হবে সেটা আমি চেষ্টা করবো।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ১৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা পৌঁছাবে বাংলাদেশ। এরপর কোয়ারেন্টাইন শেষে ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল দুইদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ২১ এপ্রিল শুরু হবে প্রথম টেস্ট, দ্বিতীয়টি হবে ২৯ এপ্রিল।