শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেট নেয়া অসম্ভব নয়, বলছেন ডমিঙ্গো

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পিএসএলে রিশাদ-শাহীন আফ্রিদিদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো
২৯ মার্চ ২৫
ক্যান্ডিতে টেস্ট শুরুর আগে ধারণা করা হচ্ছিলো উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে পেসাররা। তবে ম্যাচ শুরু হতেই দেখা গেলো একেবারে ভিন্ন চিত্র। শ্রীলঙ্কার বোলাররা একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। এমনকি বড় ধরনের কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। ফলে পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দুই দিনে উইকেটে পড়েছে মাত্র চারটি।
গেল দুইদিন পুরোদমে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ না হলেও তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ব্যাট করতে নামতে পারে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুইদিনে মাত্র ৪ উইকেট পড়লেও শেষ তিনদিনে শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেট নেয়া অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই প্রধান কোচ বলেন, ‘উইকেট খুব ভালো মনে হচ্ছে। তবে এখানে খুবই গরম, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য অফ স্টাম্পের বাইরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। আশা করি স্পিনাররা এটা কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিপক্ষের বড় স্কোরের পর ব্যাটিং করতে নামলে একটু ক্লান্তি থাকেই। স্কোর বোর্ডেরও একটা চাপ থাকে।’
খালেদের ছোবলের পর বৃষ্টি ও কেলির দাপট
০ মিনিট আগে
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বা দুটি ভুল, এক বা দুজন বোলারের কয়েকটি ভালো স্পেল হলে আপনি ২০ উইকেট নেয়ার সুযোগ পাবেন। আমরা জানি পরবর্তী কয়েকদিন এটা কঠিন হবে। ধৈর্য ধরতে হবে এবং একটি ভালো উইকেটে উইকেট তুলে নেয়ার উপায় খুঁজে পেতে ইচ্ছুক।’
এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বোলাররা সহায়তা না পাওয়ায় দাপট দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাসকিন আহেমদ-আবু জায়েদ রাহিরা উইকেট থেকে খুব বেশি সুবিধা না পেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দাপট দেখাতে পারেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। কারণ দলে দিমুথ করুনারত্নে, দীনেশ চান্দিমাল, লাহিরু থিরিমান্নে এবং নিরোশান ডিকওয়েলার মতো বেশ কয়েক দারুণ ব্যাটসম্যান রয়েছে।
যারা কিনা ভোগাতে পারেন বাংলাদেশের বোলারদের। তবে নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ডমিঙ্গো। তিন পেসার ছাড়াও দলে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের মতো স্পিনাররা। দলের বোলিং বৈচিত্র নিয়ে বেশ খুশি তিনি। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তাসকিন-মিরাজদের দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের এই প্রধান কোচ।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কয়েকজন মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদেরও খুব ভালো বোলিং আক্রমণ আছে। তিনজন ভিন্ন ধরনের পেসার আছে, একজন করে অফ ও বাঁহাতি স্পিনার আছে। বোলিং আক্রমণে বেশ বৈচিত্র আছে। কাল ছেলেদের মাঠে দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। ওরা অনেক টেস্ট খেলে না, তাই কি করতে পারে সেটা দেখা ওরা অধীর হয়ে আছে।’