এভাবে খেললে একটা সময় আমরা টেস্ট ম্যাচ জিতবো: সুজন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
১৬ মার্চ ২৫
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স। বিশেষ করে মাস দুয়েক আগে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ। পরিসংখ্যান কিংবা পারফরম্যান্স, কোনো কিছুই কথা বলছি না বাংলাদেশের পক্ষে। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে চোখে পড়েনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি।
এমন পরিস্থিতিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে না পারলেও ড্র করায় কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে দারুণ করেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান। তাতে বেশ খুশি খালেদ মাহুমদ সুজন। শ্রীলঙ্কা সফরের বাংলাদেশের টিম লিডার যাওয়া সুজন জানিয়েছেন, এভাবে খেলতে থাকলে এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে একটা সময় বাংলাদেশ টেস্ট জিতবে।

প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলেন তামিম ইকবাল। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও খেলেছিলেন ১০১ বলে ৯০ রানের দারুণ এক ইনিংস। আর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৮ বলে ৭৪ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এদিকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যর্থ হওয়া নাজমুল শান্ত করেছেন ১৬৩ রান। এই দুইজন ছাড়াও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসরা।
খালেদের ছোবলের পর বৃষ্টি ও কেলির দাপট
৩ মিনিট আগে
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বিদেশের মাটিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন মুমিনুল। যেখানে খেলেছিলেন ৩০৪ বলে ১২৭ রানের ইনিংস। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মুশফিক ও লিটন। ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও এখনই মূল্যায়ন করতে চান না সুজন। বরং তিনি মনে করেন, ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক হওয়াটা জরুরি।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে তাতে আমি খুব খুশি। সত্যি কথা বলতে তামিমের দুইটা ইনিংসই দারুণ। প্রথম ইনিংসের নকটাতো আমাদের পুরো ড্রেসিংরুমের আবহই পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি খুব খুশি যে চাপের মুখে শান্ত যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, যেভাবে ব্যাট করেছে প্রথম ইনিংসে তা নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত। মুমিনুলকে নিয়ে কথা দেশের মাটিতে ছাড়া রান করতে পারে না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি মুমিনুলও দারুণ ব্যাট করেছে। মুশফিক, লিটন দুজনেও ভালো সমর্থন দিয়েছে দলকে। আমি মনে করি একটা ইনিংস দেখেই আমার মূল্যায়ন করাটা ঠিক হবে না। আমি বিশ্বাস করি ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখান থেকে ভালো খেলবে,পরের ম্যাচ বাকি, এরপর জিম্বাবুয়ে যাবো আমরা। আমরা যেন একটা সঠিক টেস্ট দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, এই ছেলেরাই যেন নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রতিযোগিতা করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি ব্যাটসম্যানরা উপর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে। তবে একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখবো ইনশাআল্লাহ। নিয়মিত টেস্ট ম্যাচ জিতবো, আমাদের জন্য ধারবাহিকতাটা খুব জরুরি।’