ফিক্সিং করেননি, দাবি হিথ স্ট্রিকের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বাজবল’ এর হারানো গৌরব ফেরাতে চান ম্যাককালাম
৪ ঘন্টা আগে
আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনের বেশ কয়েকটি নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন হিথ স্ট্রিক। এমন কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
নিষিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর বিপক্ষে অভিযোগ ছিল তিনি কোচ বা বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাকালীন দলের তথ্য পাচার করতেন। নিষেধাজ্ঞা মেনে নিলেও বাংলাদেশের সাবেক এই বোলিং কোচ দাবি করেছেন যে, তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
২০১৬-১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টেও তথ্য পাচারের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই পেসার। ২০১৭ সালে বিপিএলের সময় বেশ কয়েকটি ম্যাচে তথ্য পাচার করেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই বোলিং কোচ।

এ ছাড়া ২০১৮ সালে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ, জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএল) ও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দায়িত্ব পালনের সময় দলের তথ্য পাচার করেছেন।
শুধু তাই নয়, একজন জাতীয় দলের অধিনায়কসহ অন্তত চারজন ক্রিকেটারকে জুয়া বা বাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। শুরুর দিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
ম্যাচ ফিক্সিং করেননি দাবি করে স্ট্রিক বলেন, ‘কোনো ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিং রুম থেকে তথ্য প্রকাশ করার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। আইসিসি নিজেই তার বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
জুয়াড়ির কাছে থেকে বিভিন্ন জিনিস নেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে ব্যক্তিটি যে জুয়াড়ি ছিল এটি জানতেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনা তথ্য পাচারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন ৪৭ বছর বয়সি এই কোচ।
এ প্রসঙ্গে স্ট্রিক বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব থেকে শুধুমাত্র অন্য একটি জিনিস আমি গ্রহণ করেছিলাম, হুইস্কির বোতল এবং আমার স্ত্রীকে উপহার দেওয়া একটি ফোন। বেশ কয়েক মাস পর আইসিসি বিষয়টি আমার নজরে আনে যে, আমি যার সঙ্গে আমি কাজ করেছি এবং আমাদের বন্ধুত্ব চলাকালীন কিছু তথ্য ভাগাভাগি করেছি, তা অনলাইনে বেটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।’