মিরাজ-মুস্তাফিজদের কৃতিত্ব দিলেন পেরেরা
ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৭ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের একাই ধসিয়ে দিলেন রাকিবুল, বিপর্যয়ে বাংলাদেশও
১৭ ঘন্টা আগে
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তিন সিনিয়র তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২৫৭ রানের পুঁজি নিয়েও বোলারদের নৈপূণ্যে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয় না পেলেও বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন কুশল পেরেরা।
২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা ও পেরেরা দ্রুত রান তুলতে শুরু করলেও একটু পরই খেই হারিয়ে বসে। ইনিংসে পঞ্চম ওভারে ১৯ বলে ২১ রান করা গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

এরপর নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে ১৩ বলে ৮ রান করা পাথুম নিশানকাকে ফেরান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে এসে শুরুতেই কুশল মেন্ডিসকে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপর লঙ্কানদের একাই চেপে ধরেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরান পেরেরা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও আসেন বান্দারাকে।
১০২ রানে ৬ উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে কাঁপন ধরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দাসুন শানাকা ও ইসুুরু উদানাকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে লঙ্কানদের জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে ৬০ বলে ৭৪ রান করে হাসারাঙ্গা ফিরলে দ্রুতই সব উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৪ ও মুস্তাফিজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফলে ৩৩ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের।
হাসারাঙ্গা ও বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করতে গিয়ে ম্যাচ শেষে পেরেরা বলেন, ‘হেরে যাওয়া দল হওয়া মোটেও ভালো কিছু নয়, তবে বেশ কিছু পজিটিভ (ম্যাচে) আছে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দারুণ খেলেছে। আমরা ভালো বল করেছি। বাংলাদেশ ভালো দল, আমাদের বোলাররা অভিজ্ঞ না তবে তারা বাংলাদেশকে ২৫৭ রানে বেঁধে রেখেছে।'
তিনি আরও বলেন, ‘হাসারাঙ্গা হাইলি রেটেড ক্রিকেটার। এই কন্ডিশনে ১০ ওভার বল করা দারুণ কিছু। টপ অর্ডারকে ৩০-৩৫ ওভার থাকতে হত উইকেটে। ইসুরু উদানা ও হাসারাঙ্গা আমাদের সুযোগ তৈরি (জয়ের) করেছিল তবে তাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের হাতে ২ টি ম্যাচ আছে, আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে।'