রানাতুঙ্গা অধিনায়ক হলে 'চড়' খেতেন গুনাথিলাকা-মেন্ডিসরা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এক মাসের জন্য শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং পরামর্শক ইংল্যান্ডের বুন
১৬ মে ২৫
ইংল্যান্ড সফরে বাজে পারফম্যান্স করে আলোচনায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। তার মধ্যেই আবার দলের তিন সদস্য জৈব সুরক্ষা বলয় ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তাদের এমন বিতর্কিত কান্ডে সমালোচনা করেছেন সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটাররা।
করোনা মহামারীর কারণে দলের সকলেরই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সময়ে কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা ও নিরোসান ডিকওয়েলা জৈব সুরক্ষা বলয় ভঙ্গ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় টিম হোটেলের বাইরে গিয়ে তারা ধূমপান করছেন।

দলের তিন ক্রিকেটারের এমন কান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তাঁর মতে তিনি দলের অধিনায়ক হলে তাদের দুই থেকে তিনবার চড় দিতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলা এবং একই সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার আমি করতে দিতাম না। তারা ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ব্যাবহার করে এবং ক্রিকেট খেলা ছাড়া সবই করে। ক্রিকেট প্রশাসন সে ব্যাপারে কিছুই করছে না। তারা শুধু জনপ্রিয়তা চায়। আমি দলের অধিনায়ক হলে এই তিনজনকে আরও সতর্ক হতে হতো। আমি সম্ভবত দুই-তিনবার তাদের চড় মারতাম।'
ইনজুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে বাদ আর্চার
১৪ ঘন্টা আগে
এ ঘটনায় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি বলেছেন ক্রিকেটারদের শুধু ক্রিকেটীয় দক্ষতা নয়, মানুষ হিসেবেও আদর্শ করে তুলা প্রয়োজন। ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে ও কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
লঙ্কান খেলোয়াড়দের বিতর্কিত কান্ডের পর তাদের পাশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সাঙ্গাকারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই তিনজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, একজন সহ-অধিনায়ক (কুশল মেন্ডিস)। সেখানে তদন্ত হবে এবং একটি সিদ্ধান্ত আসবে। আমি আশা করব তাদের উন্নয়েনে কাউন্সেলিং ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় দক্ষতায় নয়, মানুষ হিসেবেও উন্নতি করা, যাতে তারা মাঠে এবং মাঠের বাইরে আদর্শ জীবন যাপন করতে পারে।’
শ্রীলঙ্কা দলের এই তিন ক্রিকেটার একাদশের নিয়মিত সদস্য। কুশল লঙ্কানদের মিডল অর্ডারের বড় ভসার নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো পঞ্চাশের উপর ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আর গুনাথিলক, ডিকওয়েলাও দলের ব্যাটিং লাইন আপে অপরিহার্য সদস্য ছিল। তাদের অনুপস্থিতি তরুণ লঙ্কা স্কোয়াডকে আরও চাপে ফেলেছে।