মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় টপ অর্ডার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে পা রাখল বাংলাদেশ
১৪ ঘন্টা আগে
পুরো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জুড়েই বাংলাদেশ দলকে হতাশায় ডুবিয়েছে টপ অর্ডার। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ম্যাচেও সেই ব্যাটিং দৈন্যতা দেখা গেছে। ম্যাচ হারের পর তাই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
এই ম্যাচের শুরুতে দ্রুত ১৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার নাইম শেখ ও সাইফ হাসান। ভালো করতে পারেননি দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তও। যদিও শেষের দিকে আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩৪ বলে ৩৬, নুরুল হাসান সোহান ২২ বলে ২৮ ও শেখ মেহেদি ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ১২৭ রানের সংগ্রহ পেতে সাহায্য করেছেন।

যদিও পরিকল্পনা মতো খেলতে না পারার কারণে এই ম্যাচে ৪ উইকেটে হারতে হয়েছে টাইগারদের। উইকেট ভালো দেখেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শুরু থেকেই বোলাররা প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। যদিও এটাকে অযুহাত দিতে নারাজ টাইগার অধিনায়ক। তবে তিনি মনে করেন টপ অর্ডার ভালো করলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতো।
পাকিস্তানের নতুন বোলিং কোচ নফকে, ব্যাটিং কোচ হানিফ মালিক
১২ ঘন্টা আগে
তিনি বলেন, 'আমরা যখন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম উইকেট দেখতে বেশ ভালো ছিল। কিন্তু এটা বোলারদেরও সাহায্য দিয়েছে একইভাবে। এটা কোনো অনুহাত হতে পারে না। ব্যাট হাতে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটারদের ভালো করার সুযোগ ছিল। বিশ্বকাপেও আমরা এজন্য ভুগেছি।'
১২৮ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের, যদিও পাওয়ার প্লেতেই ২৪ রানে ৪ উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর শেষ ৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের পরিস্থিতি বলছিল সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু ফখর জামান ও খুশদিল শাহর ৫৬ রানের জুটি ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। শেষ দিকে শাদাব খানের ১০ বলে ২১ এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ৮ বলে ১৮ পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছে। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহর বাহবা পেয়েছেন নওয়াজ ও শাদাব।
তিনি বলেন, 'আরও ভালো হতো যদি ১৪০ এর মতো রান হতো। কিন্তু আমরা করেছি একবল ১২৭ রান। আমরা যদি দ্রুত কয়েকটি উইকেট ফেলে দিতে পারতাম তাহলে অন্যরকম হতে পারতো। যদিও বোলাররা খুব ভালো করেছে। আমরা খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। শেষের দিকে তারা অনেক রান তুলেছে এর কৃতিত্ব দিতে হয় শেষ দুই ব্যাটারকে। নওয়াজ ও শাদাব দারুণ ব্যাট করেছে।'