শেষ বিকেলে রুটের বিদায়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানকে হারিয়ে লাহোরের দর্শকদের চুপ করাতে চান ল্যাবুশেন
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
মিচেল স্টার্কের বলে ব্যথা পাওয়ার পর খানিকটা অস্বস্তিতে ভুগছিলেন জো রুট। শেষ পর্যন্ত সেটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল। চতুর্থ দিনের শেষ ওভারে বল হাতে স্টার্ক, তখন স্ট্রাইক প্রান্তে ইংল্যান্ডকে টেনে তোলার দায়িত্বে রুট। হতাশা কাটিয়ে চতুর্থ দিনটা শেষ করতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মাত্র ৬ বল টিকে থাকা। তবে সেখানেই ব্যর্থ হলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটলেন রুট। ইংলিশ অধিনায়কের বিদায়ে ৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অ্যাডিলেড টেস্টে আরও একবার ব্যাকফুটে সফরকারীরা। ম্যাচ বাঁচাতে শেষ দিনে তিন সেশন ব্যাটিং করার বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। জিততে হলে করতে হবে ৩৮৬ রান। এদিকে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পঞ্চম দিনে মাত্র ৬টি উইকেট নিতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
অ্যাডিলেডে জয়ের জন্য ৪৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর মিশনেই ব্যর্থ ইংল্যান্ড। গ্যাবা টেস্ট কিংবা অ্যাডিলেডের প্রথম ইনিংসের মতো আরও একবার ব্যর্থ ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ঝাই রিচার্ডসনকে উইকেট দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোন রান করতে না পারা হাসিব হামিদ।
তিনে নামা ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় সেশনটা কাটানোর প্রচেষ্টা চালালেও খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। তাদের দুজনের ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন মাইকেল নেসার। ডানহাতি এই পেসারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছে ৫২ বলে ২০ রান করা মালান।

সর্বশেষ তিন ইনিংসের চেয়ে এদিন কিছুটা সাবলীল ব্যাটিং করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ররি বার্নস। রিচার্ডসনের বলে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৯৫ বলে ৩৪ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রুট ও বেন স্টোকস। দলের রান না বাড়লেও ধীরগতির ব্যাটিংয়ে সময় পার করছিলেন তারা দুজন।
করোনা আক্রান্ত হেড, খেলবেন না লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে
১৯ মে ২৫
যদিও সেটা বিফলে গেছে শেষ বিকেলের শেষ ওভারে রুটের বিদায়ে। এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান করার মাইল ফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা রুট এদিন আউট হয়েছেন ২৪ রান। এদিকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় অ্যালেস্টার কুককে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
এর আগে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে করা ১ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শুরুতেই আগেরদিন নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা নেসারকে হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার মার্কোস হ্যারিসও ফিরেছেন নেসার ফেরার পর। থিতু হতে পারেননি প্যাট কামিন্সের বদলি হিসেবে অধিনায়কত্ব করা স্মিথ। সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৬ রান করে।
এরপর অবশ্য ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। তাদের দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৮৯ রান। ওয়ানডে মেজাজে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া হেড ৫১ রান করে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। তাকে সঙ্গ দেয়া ল্যাবুশেন আউট হয়েছেন ৫১ রান করে। শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিন অপরাজিত ৩৩ রান করে দলের রান বাড়িয়েছে। ২৩০ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। তাতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে):
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস) - ৪৭৩/৯ ডিক্লে (ওভার ১৫০.৪) (ল্যাবুশেন ১০৩, ওয়ার্নার ৯৫, স্মিথ ৯৩, কেরি ৫১, স্টার্ক ৩৯*, নেসার ৩৫; স্টোকস ৩/১১৩, অ্যান্ডারসন ২/৫৮)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) - ২৩৬/১০ (ওভার ৮৪.১) (মালান ৮০, রুট ৬২, স্টোকস ৩৪, ওকস ২৪; স্টার্ক ৪/৩৭, লায়ন ৩/৫৮, গ্রিন ২/২৪)
অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস) - ২৩০/৯ ডিক্লে (ওভার ৬১) (ল্যাবুশেন ৫১, হেড ৫১, গ্রিন ৩৩; রুট ২/২৭, মালান ২/৩৩)
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস) - ৮২/৪ (ওভার ৪৩.২) (বার্নস ৩৪, রুট ২৪, মালান ২০; রিচার্ডসন ২/১৭)