একটুও চাপে ছিলাম না: স্মিথ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্মিথ ও ফিলিপসকে পেছনে ফেলে ফেব্রুয়ারির মাসসেরা গিল
১২ মার্চ ২৫
২০১৮ সালের কেপটাউন টেস্টের পর এবারই প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত তিনি। শেষদিনে জস বাটলার- ক্রিস ওকসরা প্রতিরোধ গড়লেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে জয় পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
অ্যাডিলেড টেস্টের শেষদিনে ম্যাচ জিততে প্রায় চারশ'র মতো রান করতে হতো ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ছয় উইকেট। এমন সময়ে শুরুতে উইকেট তুলে নিলেও শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ভুগিয়েছেন বাটলার।
যদিও শেষরক্ষা হয়নি তাতে। ২৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। বাটলার করেন ২০৭ বলে ২৬ রান। বাটলারকে সঙ্গ দিতে গিয়ে বেন স্টোকস ৭৭ বলে ১২, ক্রিস ওকস ৯৭ বলে ৪৪ এবং ওলি রবিনসন ৩৯ বলে ৮ রান করেন।

ম্যাচ যখন দিনের দ্বিতীয় সেশনে, তখন মনে হচ্ছিল শেষদিনে ম্যাচ ড্র করে ফেলবে ইংল্যান্ড। কেননা বাটলারদের রক্ষণে পরাস্ত হচ্ছিলেন মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়নরা। অধিনায়ক হিসেবে চাপে থাকার কথা স্মিথেরও। যদিও ম্যাচ শেষে স্মিথ জানালেন, এমন প্রেক্ষাপট নার্ভাস করেনি তাকে।
চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছেন হ্যাজেলউড
৮ ঘন্টা আগে
তিনি বলেন, 'একটুও চাপে ছিলাম না। জস খুব ভালো খেলেছে। দুইশ বলের বেশি খেলেছে সে। ক্রিস ওকস এবং রবিনসনের সঙ্গে সে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আমরা খুব শান্ত থাকতে চেয়েছিলাম। কেননা দুটি ভালো বলেই আমরা দুজনকে ফেরাতে পারতাম।
'ম্যাচও জিততে পারতাম। অধিনায়কত্ব উপভোগ করেছি আমি। প্রথম দিনের পর আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছি। ডেভিড এবং ল্যাবুশেন দারুণ জুটি গড়ে তুলেছে। ম্যাচটি যেকোনোভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম।'
বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির পর অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন স্মিথ। এরপর টিম পেইনের আকস্মিক বিদায়ে হুট করেই অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কত্ব মেলে তার। অ্যাডিলেড টেস্ট শুরুর আগের রাতে কোভিড ইস্যুতে নব্য দলনেতা প্যাট কামিন্স ছিটকে গেলে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেবার সুযোগ মিলে স্মিথের।