কামিন্সের পর ফিঞ্চের ভোটও পেলেন ল্যাঙ্গার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলে খেলতে ভারতে ফিরছেন কামিন্স-হেড
১৩ মে ২৫
চলতি বছরের জুনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয় সিএ। যদিও এই ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি তারা। অবশ্য দলের অধিনায়কদের সমর্থন পাচ্ছেন ল্যাঙ্গার। লাল বলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পর সাদা বলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের সমর্থন পেলেন ল্যাঙ্গার।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় দৈনিক সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কোচ হিসেবে খুবই আক্রমণাত্মক মেজাজের ল্যাঙ্গার। দলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভালোবাসেন তিনি। যার কারণে সহকারি কোচ এবং অস্ট্রেলিয়ার লিডারশিপ গ্রুপের ক্রিকেটারদের প্রায়শই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
এই কারণে অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র অনেক ক্রিকেটারই ল্যাঙ্গারের অধীনে পরবর্তী মেয়াদে খেলতে চান না! সিডনি মর্নিং হেরাল্ড তাদের প্রতিবেদনে আরও জানায়, কোচ হিসেবে খুবই খেয়ালী স্বভাবের ল্যাঙ্গার।

ঘনঘন পরিকল্পনা পরিবর্তন করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। এ কারণে দলের সহকারি কোচ এবং লিডারশিপ গ্রুপের ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রায়ই বিরোধ বাধে ল্যাঙ্গারের। ফিঞ্চের কথায় অবশ্য সব ধরনের গুঞ্জন উড়ে গেলো!
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ ম্যাচ জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ
১৫ মে ২৫
ফিঞ্চ বলেন, 'সে দারুণ করছে। বিশ্বকাপে আমাদের কেউই সেভাবে বিবেচনা করেনি, কিন্তু আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। এরপর অ্যাশেজে আমরা ৪-০ তে জিতলাম। সেখানে আমরা ৫-০ তে জিততে পারতাম। দারুণ সব জয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কী করবে এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।'
'শেষ কয়েক মাসে ল্যাঙ্গার অসাধারণ সব পারফর্ম করেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যা করবে এই ব্যাপারে ক্রিকেটারদের কোনো হাত নেই। আমি জানি আমার আর প্যাটির (প্যাট কামিন্স) সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হবে। কিন্তু কারো যখন কোচিং মেয়াদ শেষ হয়, এমন সময়ে আমি কখনোই অধিনায়ক ছিলাম না। আমি শুধু বলব, সে অসাধারণ ফলাফল এনেছে।'
কোচ হিসেবে দারুণ সব সাফল্য এনে দিয়েছেন ল্যাঙ্গার। ২০১৮ সালের বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন ড্যারেন লেহম্যান। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দলটির দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক সাফল্য এনে দিতে থাকেন ল্যাঙ্গার।
২০১৯ ও ২০২১ সালের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শিরোপা ধরে রাখেন তিনি। এছাড়া ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ল্যাঙ্গারের অধীনেই শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া।
ল্যাঙ্গারের প্রশংসা করে কামিন্স কিছুদিন আগে বলেছিলেন, 'এখানে আমার মতামতের প্রয়োজন নেই। আমরা দেখব সামনে কী হয়। সবাই এই ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পেলে ভালো হয়। সে (ল্যাঙ্গার) দলের জন্য দারুণ কিছু করছে। আমরা অবশ্যই জেএলকে ভালোবাসি। বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজে সে দারুণ ছিল।'