|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

নাইম-বিজয়ের আক্ষেপের দিনে মিরপুরে বৃষ্টির দাপট

২১ মে ২৫

ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বরাবরই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে ক্রিস কেয়ার্নসকে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডারের এবারের লড়াইটা বেঁচে থাকার। স্ট্রোক এবং দুই পাওয়া প্যারালাইজড হওয়ার পর অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেয়ার্নস।

নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের দাবি, কদিন আগে প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাক এবং প্যারাপ্লিজিয়ার কারণে ক্যানবেরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫১ বছর বয়সি সাবেক এই ক্রিকেটার। তবে গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাসায় পাঠিয়ে দেয়। 

এদিকে ইনস্টাগ্রামে কেয়ার্নস লিখেছেন, ‘গতকাল আমাকে বলা হয়েছে আমার অন্ত্রের ক্যান্সার হয়েছে। আমি পুরোপুরি শকড। আমি ভেবেছিলাম এটি সাধারণ চেকআপের মতো হবে কিন্তু এটি তা নয়। সুতরাং আমি এখন সার্জন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্ততি নিচ্ছি।’

‘এখানে আমি প্রথমে থাকতে পেরে আমি মনে রাখি যে আমি কতটা ভাগ্যবান। আমার জীবনে যা করেছি যে পেয়ে আমি কতটা ধন্য। এই সপ্তাহে সবকিছু খারাপ ছিল না। বাড়িতে কিছু বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা এবং নোয়ার (ছেলে) জন্মদিন উদযাপন করতে পেরেছিলাম।’

গত বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির সেইন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে কেয়ার্নসের হৃদপিন্ডে বড় ধরনের অস্ত্রপচার সম্পন্ন করা হয়েছিল। এরপর শঙ্কা পুরোপুরি না কাটলেও নিউজিল্যান্ডের ক্যানবেরায় স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে তার আইনজীবী অ্যারন লিয়ড জানিয়েছিলেন, দুই পা প্যারালাইজড হয়েছে কেয়ার্নসের দুই পা। এর আগে স্ট্রোক করে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অলরাউন্ডার। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে ক্যানবেরাতেই ছিলেন তিনি।  

১৯৮৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়েসে জাতীয় দলের জার্সিতে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় কেয়ার্নসের। এরপর কিউইদের হয়ে ৬২টি টেস্টে ও ২১৫টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। টেস্টে তিন হাজারেরও বেশি এবং ওয়ানডেতে আছে প্রায় পাঁচ হাজার রান রয়েছে তাঁর। দুই ফরম্যাটেই দুইশর বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব রয়েছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডারের।

তাঁর সময়ে সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় ওপরের দিকেই ছিলেন কেয়ার্নস। ২০০০ সালে উইজেডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে তাঁর বীরত্বেই ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতে নিউজিল্যান্ড। আইসিসির বৈশ্বিক আসরে সেটিই ছিল ব্ল্যাক ক্যাপসদের প্রথম কোনো শিরোপা।