বিদায়ের পর ক্ষমা চাইলেন ল্যাঙ্গার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ ম্যাচ জিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ
১৫ মে ২৫
জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ের ধরন নিয়ে অসন্তোষ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা, কদিন আগে এমন গুঞ্জন উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে। এরপরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ঘরের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজে ল্যাঙ্গারের ওপর আস্থা রেখেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে গত কয়েক মাসে দারুণ সাফল্যের পরও দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করতে রাজি না হওয়ায় বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন ল্যাঙ্গার। দায়িত্ব ছাড়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টের বল টেম্পারিং কাণ্ডে ড্যারেন লেহম্যানকে ছাঁটাই করার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল ল্যাঙ্গারের কাঁধে। তার অধীনে টেস্টের এক নম্বর দল হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করছে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতেও শীর্ষে উঠেছিল তারা।

শিরোপা খরা কাটিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার মতো ব্যর্থতাও রয়েছে তার কোচিং ক্যারিয়ারে। এ ছাড়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে ফাইনালে খেলা হয়নি দলটির।
যদিও বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জয়ের পর প্রত্যাশিতভাবেই আরও অনেক সাফল্যের কাণ্ডারি হতে চেয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। তবে মেলবন্ধন হয়নি ল্যাঙ্গারের চাওয়ার-পাওয়ার। লম্বা সময়ের জন্য আগ্রহী হলেও অস্ট্রেলিয়ার সফলতম এই কোচবে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল মোটে ৬ মাসের। তাতেই ছিন্ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ল্যাঙ্গারের প্রায় সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক। দায়িত্ব ছাড়ার পর বোর্ডকে মেইল দিয়েছেন ল্যাঙ্গার। যা প্রকাশ করেছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান।
যেখানে ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘মাথা উঁচু করে বিদায়ের সুযোগ দিতে গত রাতে আমাকে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত মেয়াদের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেই। এখন যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের পরের অধ্যায় শুরু করাটাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে।’
‘গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন খবর সত্যি হলে বলা যায়, প্রধান কোচের পদে আমার থাকাটা কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ সমর্থন করছে না। এখন এটাও পরিষ্কার যে, সিএ বোর্ড ও নিক তুমিও গভীরভাবে চাও দল এখন নতুন নেতৃত্বে (নতুন কোচের হাত ধরে) এগিয়ে যাক। আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমার জীবন গড়া সততার মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও পারফরম্যান্সের ওপর। আর এগুলো বাস্তবায়ন করতে যদি কখনও বাড়াবাড়ি করে থাকি তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’