জয়-এবাদতকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিলেন নান্নু
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১১ রানে ফাহাদের ৪ উইকেট, চট্টগ্রামের জয় ১০ উইকেটে
১৪ ডিসেম্বর ২৪
এক ফরম্যাটে ভালো করলে অন্য ফরম্যাটে অভিষেক, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ যেন প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দারুণ ব্যাটিং করায় মাহমুদুল হাসান জয়ের এবার ডাক পড়েছে ওয়ানডে দলে। জয়ের মতোই প্রথমবারের মতো ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাক পড়েছে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করা নাসুম আহমেদ এবং টেস্টে পারফর্ম করা এবাদত হোসেনের। দল ঘোষণার দিনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে জয় এবং এবাদতকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক নান্নু।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) নিজের ব্যাটিং নৈপূণ্য দেখিয়েছিলেন জয়। এরপরই সাদা পোশাকের দলে ডাকা হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে। যদিও অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড সফরে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন জয়। এরপর ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে এবং সিরিজের শেষ টেস্টে খেলা হয়নি তার। ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন জয়।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শুরু থেকেই পারফর্ম করছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও দুটি চল্লিশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন। বিপিএলে ৯ ম্যাচে ২২৬ রান করা জয়কে এবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটের দলে রাখা হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। যদিও জয়কে দলে রাখার কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংকে সামনে দাঁড় করিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘জয় নিউজিল্যান্ড সিরিজে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে টেস্টে। আমরা ৫০ ওভারের ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেটেও ওর কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করি। আগামী দিনে ওর থেকে আরও ভালো সার্ভিস পাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ও (জয়) যে স্টাইলে ব্যাটিং করে….আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী…আমাদের মিডল অর্ডারে, যখন যেখানে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে…আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ও যে স্টাইলে ব্যাটিং করে…অনেক নির্ভরযোগ্য ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ব্যাটিং করে। যদি এভাবেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করে তাহলে অনেক দিন দেশকে সার্ভিস দিতে পারে।’
এদিকে ২০১৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ১২টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি এবাদত। গত কয়েক বছরে এবাদতকে টেস্ট বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আফগানিস্তান সিরিজের ওয়ানডে দলে নেয়া হয়েছে ডানহাতি এই পেসারকে। যদিও ঘরোয়াতে রঙিন পোশাকে আহামরী কোনো পারফর্ম করতে পারেননি। তবে বিপিএলে দারুণ লাইন লেন্থ মেনে বোলিং করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এবাদত আমাদের টেস্ট বোলার, ওকে আমরা ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য চিন্তা ভাবনা করতেছি। সার্বিকভাবে ও যেভাবে কাজ করতেছে আমাদের পেস বোলিং ইউনিটের সাথে ওরা যথেষ্ট খুশি, আমরাও ওর উপর যথেষ্ট খুশি ওর পারফরম্যান্সে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আমরা দেখছি ওর নিয়ন্ত্রণ সাদা বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট ভালো। এ জন্য ওকে বিবেচনা করা।’