ম্যাচ জেতা নিয়ে আলোচনাই হয়নি আফিফ-মিরাজের

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট। সাজঘরে ৪ সিনিয়রও। এমন অবস্থায় শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ হারের। কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ে আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরাজ স্বাগতিকদের এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়। চট্টগ্রামে দুই তরুণের ব্যাটে নতুন ইতিহাস লিখল তামিম ইকবালের দল।
ইনিংসের শুরুতেই নতুন বলে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ফজলহক ফারুকি। চার উইকেট নিয়ে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সে সময় জয় থেকে বহুদূরে ছিল টাইগাররা।
সেই খাদের কিনারা থেকে মিরাজ-আফিফ জুটি শুধু দলকে টেনেই তুলেননি, অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেছেন। এছাড়া ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন রেকর্ড জুটি। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া আফিফ অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে।

তার ১১৫ বলের অসাধারণ ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়। বল হাতে আলো ছড়ানো মিরাজ ৯ চারে ১২০ বলে করেন ৮১ রান। ফারুকি শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে নেন ৪ উইকেট। তবে এই জুটি গড়ার সময় পুরো ম্যাচে দুজন ম্যাচ জেতার ব্যাপারে কোন আলোচনাই করেননি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন আফিফ হোসেন। তিনি বলেন, '৬ টা উইকেট পড়ার পর আমাদে শুধু একটা লক্ষ্য ছিল আমরা উইকেট দিবো না। এই লক্ষ্যটা নিয়েই ব্যাটিং করতেছিলাম যে উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়।'
'পুরো খেলাটায় আমরা ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে কথা বলি নাই। আমাদের জাস্ট কথা ওটাই ছিল যে আমরা উইকেট দিব না শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব' আরও যোগ করেন এই অলরাউন্ডার।
এদিকে উইকেটে থাকাকালীন রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবিদের দারুণভাবে সামলেছে আফিফ-মিরাজ জুটি। তাদের বিপক্ষে যে পরিকল্পনা ছিল তাতে তারা সফলও হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে আফিফ বলেন, 'নির্দিষ্ট বোলারদের লক্ষ্য বলতে ওদের যে ৩ জন স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল নরমাল খেলা। লাস্টে এদের ওভার শেষ হলে ৫ ওভার বাকি থাকতো। ওখানে একটা প্ল্যান, লাস্টের দিকে আরকি যখন খেলা অনেক দূর চলে গেছে, লাস্ট ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ ও লাগে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যেন শেষ করতে পারি। ওদের স্পিনারদের উইকেট না দিয়ে ব্যাটিং করার পরিকল্পনা ছিল।'
সঙ্গী মিরাজের প্রশংসা করে আফিফ বলেন, 'মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। ও পাশ থেকে অনেক...যখন বাউন্ডারি দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট হয়ে গেছে তখন বাউন্ডারি এসেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝতেছিলাম পরিস্থিতি যে উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা'।