লিটনের সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাড়তি এক ম্যাচ খেলে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগে
বুধবার টস ভাগ্যে বাংলাদেশের পক্ষে না গেলেও শুক্রবার আর তা হয়নি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেও অবশ্য দেড়ি করেননি তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাটিঙ্গ করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৮৫ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে রান তোলে ৩০৬।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। ৬ ওভারে রান রেট ৬এ রেখেই এগোতে থাকেন তামিম ও লিটন দাস। তবে সপ্তম ওভারে আবারও ফজল হক ফারুকির ভেতরে আসা বলে পরাস্ত হন তামিম। লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে ২৪ বলে ১২ রান করে ডাগআউটে ফেরেন ওয়ানডে দলপতি।
তামিম ফিরলেও ক্রিজে নেমে লিটনকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। তাদের ব্যাটেই দলীয় ১০০র পথে হাঁটছিল বাংলাদেশ। তবে এই দুজনের ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ খান। সাকিবকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

৩৬ বলে ২০ রান করে আউট হন সাকিব। তবে তিনি ফিরলেও মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন লিটন। ইতোমধ্যে ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ৫৪ রানে ব্যাট করছেন তিনি। এদিকে লিটনের পর হাফ সেঞ্চুরি দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। রশিদ খানের বলে চার মেরে ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
দিল্লিতে ব্রুকের বদলি সেদিকউল্লাহ
৭ মে ২৫
প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। রশিদের বলে চার মেরে ১০৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ওপেনার। যা লিটনের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম। মাইলফলকে পৌঁছে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন লিটন।
চার-ছক্কায় দলের সঙ্গে বাড়াতে থাকেন নিজের রানও। তবে ৪৭তম ওভারে ফরিদ আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৩৬ রানে আউট হন লিটন। এরপরের বলেই স্কুপ করতে গিয়ে ৮৫ রানে বিদায় নেন মুশফিকও। নিজেদের মধ্যে ২০২ রানের জুটি গড়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি এখন তাদের দখলে।
এই জুটির বিদায়ে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। শেষের কয়েক ওভারে দলকে ৩০০ রানের পুঁজি এনে দেয়ার সঙ্গে দলকে এনে দেন ৩০৬ রানের পুঁজি। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ৯ বলে ৬ ও আফিফ ১২ বলে করেন ১৩ রান। সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন ফরিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ (লিটন ১৩৬, মুশফিক ৮৫) ফরিদ (২/৫৬)