দলের স্বার্থে 'নিঃস্বার্থ' ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে স্টোকস

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের হারিয়ে খুজছে ইংল্যান্ড। একের পর এক ব্যর্থতা দলটিকে ছিটকে দিয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার দৌড় থেকে। সেই সঙ্গে দলীয় ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়েই সম্প্রতি নেতৃত্ব ছেড়ে দেন জো রুট। লাল বলে ইংলিশদের নেতৃত্বভার ওঠে বেন স্টোকসের কাঁধে।
কঠিন সময়ে দায়িত্ব পাওয়া বেন স্টোকসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, দলকে কক্ষপথে ফেরানো। ঘুড়ে দাড়াতে ইংলিশ এই অলরাউন্ডারের চাওয়া এমন সব ক্রিকেটারদের, যারা মাঠে দলকে সাহায্য করতে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেবে, সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নেবে।
নিজেদের সবশেষ ১৭ টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের মুখ দেখেছে মাত্র একটিতে। টানা ৯ টেস্টে নেই জয়। সিরিজ হেরেছে টানা ৪টি। ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অসমাপ্ত সিরিজটা গোনায় ধরলে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে পাঁচে।

এসব দায় মাথায় নিয়েই গত মাসে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন রুট। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে মঙ্গলবার অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন স্টোকস। অধিনায়কত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত এই অলরাউন্ডার বললেন, অতীত ভুলে শুধু সামনে তাকাতে চান তিনি।
স্টোকস বলেন, 'আমার জন্য রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এটি, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জও, বিশেষ করে গত কয়েকটা বছর যেভাবে কেটেছে। তবে আমার ভাবনা অতীতে যা চলে গেছে সেদিকে নজর দেওয়া নয়, সামনে যা আসছে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া। অবশ্যই সেটির শুরুটা এখন, এরপর শুরু হবে লর্ডসে।'
আগামী ২ জুন লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে শুরু হবে স্টোকসের আনুস্থানিক অধিনায়কত্বের যাত্রা। তবে এর আগেও ইংলিশদের একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রুট সে সময় পিতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন।
ইংল্যান্ডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি-র কাছ থেকে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে কিছুটা সময় নিলেও দায়িত্ব নিতে মনে কোনো দ্বিধা ছিল না বলে দাবি করলেন স্টোকস।
স্টোকস বলেন, 'অবশ্যই কিছুটা বিবেচনা করার বিষয় এটি। কারণ, এটি এমন দায়িত্ব নয় যে শুধু ‘হ্যাঁ’ বললেই হয়ে যায়। এই দায়িত্বের সঙ্গে খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়?? ভাবতে হয়। তবে আমার খুব বেশি সময় লাগেনি। আর এটি প্রত্যাখ্যান করা যায় এমন বিষয়ও নয়।'