চট্টগ্রাম টেস্টে ডোনাল্ডের মন্ত্র হট জোন ও ধৈর্য

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৭ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের একাই ধসিয়ে দিলেন রাকিবুল, বিপর্যয়ে বাংলাদেশও
১৬ ঘন্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থ মিশন শেষে অ্যালান ডোলান্ডের শিষ্যরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজের। হাতে-কলমে তো দেখিয়ে দিচ্ছেনই, সঙ্গে প্রোটিয়া এই সাবেক পেসার এবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদদের নতুন-পুরাতন বলে সফলতার পথটা দেখানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিক নির্দেশনাগুলো ২২গজে ঠিকভাবে প্রয়োগ করলেই মিলবে সফলতা। তবে ডোনাল্ড জানেন, নতুন বলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল না করতে পারলে পেসারদের জন্য পুরাতন বলে কাজটা অনেক কঠিন হবে। তাই ইনিংসের শুরুতে নতুন বলে হট জোন খুঁজে নিয়েই পেসারদের সফল হতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে গেল বছর ডিসেম্বরে। কিন্তু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই দুই টেস্টে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আসেনি বড় সাফল্য। আর উপমহাদেশের কন্ডিশনে পেসাররা যে একটু কম সুবিধাই পেয়ে থাকেন তা ভালো করেই জানেন ডোলান্ড।
এছাড়া টেস্ট জিততে পুরাতন বলে পেস বোলারদেরকে যে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেস বোলিং কোচ। তাই তো টেস্টের দুই দিন আগে এই দিকগুলো নিয়েই কাজ করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে এবাদত-খালেদরা যে ধৈর্যের পরীক্ষা দেবেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড বলেন, ‘আমাদের আজকের অনুশীলনটা ছিল পুরোনো বলের বোলিং নিয়ে। প্রতিটি সেশনে বল রিভার্স সুইং করানো নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের পুরোনো বলে খুবই ধৈর্যশীল হতে হবে। সঙ্গে সৃষ্টিশীল হতে হবে। আমাদের অবশ্য এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা নিয়ে কিছু বলতে হবে না। ওরা এসব উইকেটেই বল করে অভ্যস্ত। তবে আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে আমরা কতটা ধৈর্য ধরতে পারি, কতটা সৃষ্টিশীল হতে পারে, সেটার পরীক্ষাই হবে এ সপ্তাহে।'
‘এখানকার কন্ডিশনে সবারই খুব ঘাম ঝরবে। আর্দ্রতা খুবই বেশি। উপমহাদেশে সাধারণত যেমন থাকে আরকি। ৩০ ওভারের পর আমরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আর অবশ্যই, বল পুরোনো হলে রিভার্স সুইং করাতে হবে। সুতরাং আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। তবে এই কন্ডিশন অবশ্যই পেসারদের পরীক্ষা নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসিক শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে’ আরও যোগ করেন তিনি।