রুটের ব্যাটে তাকিয়ে ইংল্যান্ড, কিউইদের দরকার ৫ উইকেট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইনজুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে বাদ আর্চার
৬ ঘন্টা আগে
শেষদিনের নাটকের অপেক্ষায় আছে লর্ডস টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে থেমে যাওয়া নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২৮৫ রান। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৭ রানের। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছে ৫ উইকেটে ২১৬ রান। আর তাই ম্যাচ জিততে ইংলিশদের প্রয়োজন আরও ৬১ রান, অপরদিকে কিউইদের প্রয়োজন পাঁচ উইকেট। উইকেটে আছেন জো রুট।
২২৭ রানে এগিয়ে থেকে চার উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। সেঞ্চুরির প্রত্যাশায় দিন শুরু হয়েছিল দুই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেলের। এ দিনের শুরুর ভাগেই কাঙ্খিত সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল।
সেঞ্চুরি করে বেশীক্ষণ থাকতে পারেননি মিচেল। স্টুয়ার্ট ব্রডের অসাধারণ এক ডেলিভারি ব্যাটের কানায় লাগার পর বেন ফোকসের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। তার ১০৮ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার।
মিচেল ও ব্লান্ডেলের ১৯৫ রানের জুটি ভাঙার পরই মূলত খেই হারিয়ে ফেলে তারা। মিচেলকে ফেরানো ব্রডের একই ওভারের পরের বলেই অপ্রত্যাশিত রানআউটের শিকার হন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এরপরের বলে কাইল জেমিসনকে বোল্ড করে ফেরান ব্রড।

৯৭ রানে ব্যাটিং শুরু করা মিচেল সেঞ্চুরি পেলেও ৯০ রানে ব্যাটিং শুরু করা ব্লান্ডেল চাপে পড়ে সেঞ্চুরি পাননি। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৩৪ রানে শেষ ছয় উইকেট হারায় কিউইরা। ব্রড এবং ম্যাথু পটস দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট।
নাইম-বিজয়ের আক্ষেপের দিনে মিরপুরে বৃষ্টির দাপট
২১ মে ২৫
২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং নেমে দলীয় ৩১ থেকে ৬৯ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারায় ইংলিশরা। একে একে ফিরে যান অ্যালেক্স লিস (২০), জ্যাক ক্রলি (৯), অলি পোপ (১০) ও জনি বেয়ারস্টো (১৬)।
এরপর সাবেক অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়েন বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকস। কাইল জেমিসনের চতুর্থ শিকার হয়ে তিনি ফিরে যান ১১০ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৪ রান করে। অবশ্য ব্যক্তিগত এক রানে থাকা অবস্থাতেই জীবন পান স্টোকস।
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে বোল্ড হয়েছিলেন স্টোকস। প্যাভিলিয়নের পথও ধরেছিলেন তিনি। যদিও আম্পায়াররা ওভারস্টেপের কারণে নো বলের সিদ্ধান্ত দেয়ায় বেঁচে যান তিনি। ১৩১ বল খেলে ৭৭ রানে উইকেটে আছেন রুট। ৯ রানে তাকে সঙ্গ দেবেন ফোকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ১৩২/১০ (৪০ ওভার) (গ্র্যান্ডহোম ৪২*; পটস ৪/৬৬, অ্যান্ডারসন ৪/১৩)।
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ১৪১/১০ (৪২.৫ ওভার) (ক্রলি ৪৩, লিস ২৫; বোল্ট ৩/২১, সাউদি ৪/৫৫)।
নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৮৫/১০ (৯১.৩ ওভার) (মিচেল ১০৮, ব্লান্ডেল ৯৬; পটস ৩/৫৫, ব্রড ৩/৭৬)।
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২১৬/৫ (৬৫ ওভার) (লক্ষ্য ২৭৭ রান) (রুট ৭৭*, স্টোকস ৫৪; জেমিসন ৪/৫৯)।