‘বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা করা পাপের মতো’

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাবর-রিজওয়ান-শাহীনকে ছাড়াই বাংলাদেশ সিরিজে খেলবে পাকিস্তান
২১ মে ২৫
হারিস রউফ এবং নাসিম শাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে চেপে ধরলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। বাবর আজমদের মুঠোয় থাকা জয় ছিনিয়ে নেন বিরাট কোহলি। অথচ বেশিরভাগ সময়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল পাকিস্তানের হাতে। এমন ম্যাচ হারের পর বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মোহাম্মদ হাফিজ খানিকটা খোঁচা দিয়ে জানান, বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।
বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দ্রুত হারানোর পরও পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন ইফতিখার আহমেদ এবং শান মাসুদ। ১৫৯ রানের ডিফেন্ড করতে যেমন বোলিং করা দরকার সেটাই করে দেখিয়েছিলেন রউফ-নাসিমরা। পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি লোকেশ রাহুল-রোহিত শর্মারা। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত।

যদিও সেখান থেকে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার জুটি। শেষটার যার পূর্ণ দিয়েছে কোহলির ৮২ রানের ইনিংস। তিন পেসারের কোটা পূর্ণ করে শেষ ওভারের জন্য মোহাম্মদ নওয়াজকে রেখেছিলেন বাবর। ৬ বলে ১৬ রান ডিফেন্ড করতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। একই চিত্র দেখা গিয়েছিল এশিয়া কাপের ম্যাচেও।
বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে হাফিজ বলেন, ‘ব্যাপারটা এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা যেন পাপের পর্যায়ে পড়ে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় বড় ম্যাচে আমরা তার অধিনায়কত্বে খুঁত দেখলাম। কিন্তু আমরা শুনে আসছি, ৩২ বছর বয়সে আসতে আসতে সে শিখে ফেলবে।’
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না কোহলি। সেই সময় শাদাব খানরা ওভারে ৪-৫ রান করে দিলেও তখন স্পিনারদের কোটা পূর্ণ করেননি বাবর। ইনিংসের ৭ থেকে ১১ ওভারের সময় ভারত যখন রান তুলতে ভুগছিল তখন কেন স্পিনারদের কোটা পূর্ণ করা হয়নি সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাফিজ।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আজকের (কাল) ম্যাচে ভারত যখন ৭ থেকে ১১ ওভারের মধ্যে প্রতি ওভারে ৪ রান করে নিতেও কষ্ট করছে, তখন বাবর স্পিনারদের কোটা শেষ করল না কেন?’