আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপে হোঁচট খেলো ইংল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইয়ং-ক্যাম্ফারকে ছাড়াই ক্যারিবিয়ানদের মোকাবেলা করবে আয়ারল্যান্ড
২০ মে ২৫
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর কেবলই ইংল্যান্ডের হাল ধরেন মঈন আলি। আয়াল্যান্ডের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতেও শুরু করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে মঈনের ঝড় থামায় বেরসিক বৃষ্টি। ম্যাচ জিততে ১৪.৩ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১১০ রান। সেসময় ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে ১০৫ রান। তাতে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৫ রানে হারল ইংল্যান্ড।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় তারা। লেংথে পড়ে জশুয়া লিটলের বেরিয়ে যাওয়া বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেট দেন জস বাটলার। লরকান টাকারের সহজ ক্যাচে ইংলিশ অধিনায়ক আউট হয়েছেন শূন্য রানে। থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও।

লিটলের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে নিয়ে ফেরেন ৭ রান করা এই ব্যাটার। চারে নামা বেন স্টোকসও ফিরেছেন দ্রুতই। ফিন হ্যান্ডের লেংথে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন স্টোকস। বাঁহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৬ রানে। এরপর অবশ্য পাঁচে নামা হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন ডেভিড মালান।
তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। জর্জ ডকরেলের বলে জীবন পাওয়ার পর তাকেই উইকেট দিয়েছেন ব্রুক। ডকরেলের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে থাকা গ্যারেথ ডেনালিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার।
ব্রুকের একটু পর আউট হয়েছেন মালানও। বাঁহাতি এই ব্যাটারও ডকরেলের বলে জীবন পেয়েছিলেন। তবে তাকে ফেরান ব্যারি ম্যাকার্থি। এই আইরিশ পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৩৫ রান করা মালান। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আইরিশ বোলারদের অ্যাটাক করেন মঈন। তবে বৃষ্টি এলে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তাদের হারতে হয়।
এর আগে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬২ রান করেছেন অ্যান্ড্রু বালবির্নির। এ ছাড়া ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন টাকার। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন এবং মার্ক উড।