টেস্টে ভালো করতে ৫ বছরে ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ চান সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি’
২৬ মে ২৫
জাতীয় দলের জার্সিতে দারুণ শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা। ঘরোয়াতে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে না পারার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা সাকিব আল হাসানের। যে কারণে টেস্ট ক্রিকেটার বের করতে ৫ বছরে ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করতে বলছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘরোয়াতে দুটি প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও সেখানে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না ক্রিকেটাররা। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ৬ ম্যাচ আর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেন তারা।

সবমিলিয়ে এক বছরে মাত্র ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় তরুণ ক্রিকেটাররা। ভালো টেস্ট ক্রিকেটার হতে তাদেরকে আরও বেশি ম্যাচ খেলাতে বলছেন সাকিব। সেটা বুঝাতে গিয়ে ভারতের ক্রিকেটারদের দিয়ে উদাহরণও টেনেছেন তিনি। যারা কিনা জাতীয় দলে আসার আগে ৫০-৬০টি করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে আসেন।
হারিসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল পাকিস্তান
১০ ঘন্টা আগে
এদিকে বাংলাদেশে ৮০ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে ১০ বছর লাগে ক্রিকেটারদের। যেটাকে কমিয়ে ৫ বছরে ক্রিকেটারদের ৮০ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলানোর ব্যবস্থা করে দিতে বলছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। সেটা হলে বছরে ১৬টি করে ম্যাচ খেলতে পারবেন ক্রিকেটাররা। তাতে ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ম্যাচ আমাদের আরও বেশি খেলাতে হবে, যদি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সিরিয়াসলি উন্নতি করতে চাই। একজন ক্রিকেটারের ৫-৭-১০ ম্যাচের যে অভিজ্ঞতা, আর ৫০-৬০-৭০ ম্যাচ খেলার যে অভিজ্ঞতা, এটা অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত, ভারতের যে ক্রিকেটাররা আসছে, ওদের প্রায় সবার একশর ওপরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা আছে।’
‘যেখানে আমিই হয়তো এতদিন ধরে আছি… হয়তো আমি অনেক দিন ঘরোয়া খেলি না, তবে অন্যান্য যারা খেলে, একটা মৌসুমে কয়টা ম্যাচ খেলে? ৬টা থেকে ৮টা হয়তো। যদি এরকম খেলে, ১০ বছরে হবে ৮০টা ম্যাচ। আমরা যদি ৮০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কোনোভাবে ৫ বছরে খেলতে পারি, আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের হবে।’