বোমা ফাটানোর পর প্রধান নির্বাচকের পদ ছাড়লেন চেতন শর্মা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিসিসিআইয়ের সভাপতি হচ্ছেন রাজীব শুক্লা
২২ ঘন্টা আগে
দুইদিন আগেই ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যমের স্টিং অপারেশনে ধরা পড়ে চেতন শর্মার কিছু বক্তব্য। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, ফিটনেস ঠিক রাখতে এবং ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে নিষিদ্ধ ইনজেকশনও নেন ভারতের ক্রিকেটাররা। এছাড়া সৌরভ গাঙ্গুলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্কের ব্যাপারে আপত্তিকর মন্তব্যও করতে দেখা গেছে তাকে। এমন ঘটনায় বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চেতন।
চেতনের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই ১০০ শতাংশ ফিট থাকার জন্য নিষিদ্ধ ইঞ্জেকশন নেন। এমনকি যারা ৮০ ভাগ ফিট আছেন, তারাও নিষিদ্ধ ইঞ্জেকশন সেবন করেন। এমনকি জসপ্রীত বুমরাহর মতো তারকা পেসারকেও ইঞ্জেকশন নিতে বাধ্য করা হয় বলে জানিয়েছেন চেতন।
এছাড়া সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্ক, রোহিত শর্মার সঙ্গে কোহলির সম্পর্কসহ বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তির্যক মন্তব্য করেন চেতন।

এমন বক্তব্যের পর চাকরি হারাবেন চেতন, এমনটা অবশ্য আগ থেকেই অনুমিত ছিল। যদিও বিসিসিআই থেকে তাকে পদত্যাগ করার জন্য কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ক্রিকইনফোকে সেই সূত্র বলেছে, 'হ্যাঁ, বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহকে চেতন তার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে। আর সেটা মঞ্জুরও করা হয়েছে। স্ট্রিং অপারেশন কান্ডে তার বক্তব্যগুলো সমর্থনের অনুপযুক্ত ছিল। তাকে অবশ্য পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। সে নিজ থেকেই এটা করেছে।'
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চাকরি হারায় বিসিসিআইয়ের পূর্ববর্তী নির্বাচক প্যানেলের কর্মকর্তারা। তারপর চেতনকে প্রধান নির্বাচক বানিয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করে বিসিসিআই।
৫৭ বছর বয়সী চেতন পদত্যাগ নেয়ায় বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচকের পদ এখন শুন্য। শীঘ্রই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআইয়ের আরেকটি সূত্র। এই প্যানেলের বাকি সদস্যরা হলেন সলিল আনকোলা, এসএস দাস, সুব্রত ব্যানার্জি এবং এস শরত।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট এবং ৬৫টি ওয়ানডে খেলেন চেতন। ফাস্ট বোলার হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তার।