promotional_ad

দুই '১০ উইকেটের' দিনে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

বাবর-রিজওয়ান-শাহীনকে ছাড়াই বাংলাদেশ সিরিজে খেলবে পাকিস্তান

২ ঘন্টা আগে
শাহীন শাহ আফ্রিদি, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (বাম থেকে), ফাইল ফটো

জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন পেসাররা। বাকি কাজটুকু করতে হতো ব্যাটারদের। তারা সেটা তো করলেনই, উল্টো নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোনো ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে ১০২ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলল ১৪ ওভারেই। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে মাঠ ছাড়ল তামিম ইকবালের দল।


১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের পক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লে'তে গ্যাপ শট খেলার সঙ্গে উড়িয়ে মারার প্রবনতাও ছিল তাদের মাঝে। এরই সুবাদে সপ্তম ওভারের মাঝে তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০'র ঘরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।


এরপর পরের ৩ ওভারে আরও দ্রুতগতিতে স্কোরবোর্ডে রান তোলেন তামিম-লিটন। ফলে প্রথম পাওয়ারপ্লে'তেই বাংলাদেশ পুঁজি পায় ৮১ রানের। এমন অবস্থায় দলের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে লিটন ম্যাচ শেষ করেন ১৪তম ওভারেই। তার সঙ্গী তামিম অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে।


আয়ারল্যান্ড ইনিংস-


এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরুই করে আইরিশরা। দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি এবং পল স্টার্লিং বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান এবং তাসকিনকে দেখেশুনেই লিভ করছিলেন। এতে দলের রানও বাড়ছিল না। স্লিপে দাঁড়ানো তিন ফিল্ডারও হতাশ হচ্ছিলেন বারবার।


চতুর্থ ওভারে আইরিশ ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান দোহেনি। যদিও এর এক বল পরই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। হাসানের করা লেংথ ডেলিভারিটি বুঝতে পারেননি তিনি। সেটি ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে জমা পড়ে।


ফেরার আগে ২১ বলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। পরের ওভারে অবশ্য আবারও উইকেটের সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন তাসকিন। ওভারের দ্বিতীয় বলটি স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে ডিপ থার্ড অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় সেটা থামিয়ে দেন একাদশে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ।


promotional_ad

পয়েন্ট অঞ্চল থেকে বাম দিকে দৌড়ে ক্যাচটি লুফে নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ। যদিও বল থেকে একটু দূরে ছিলেন তিনি। অ্যান্ড্রু বালবির্নি এবং স্টার্লিংয়ের এই জুটিও ভাঙেন হাসান। ইনিংসের নবম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন এই পেসার।


আরো পড়ুন

ইয়ং-ক্যাম্ফারকে ছাড়াই ক্যারিবিয়ানদের মোকাবেলা করবে আয়ারল্যান্ড

২০ মে ২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না ক্রেইগ ইয়ংয়ের

সেই ওভারের প্রথম বলে স্টার্লিংকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন হাসান। ১২ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। একই ওভারের চতুর্থ বলে হ্যারি টেক্টরকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তরুণ এই পেসার।


যদিও আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। পরে অধিনায়ক তামিম ইকবাল রিভিউ নিলে তারপর মাঠ ছাড়েন টেক্টর। হাসানের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে সময় মতো ব্যাট নামিয়েছিলেন টেক্টর। যদিও তার ব্যাটে লাগার আগে ছুঁয়ে যায় সামনের প্যাড।


ইনিংসের দশম ওভারে উইকেটের দেখা পান তাসকিন। তার করা শর্ট বলটি কোনো ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই শরীরের দূর থেকে খেলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক বালবার্নি। ফলে বলটি তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপের দিকে। ক্যাচটি ধরতে একটুও ভুল হয়নি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর।


টেক্টর রানে খাতা খুলতেই পারেননি, অপরদিকে বালবির্নি করেন ৬ রান। পাওয়ার প্লে'র দশ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। বিপদ থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন লরকান টাকার এবং ক্যাম্ফার। দুজনে মিলে ৪২ রানের জুটিও গড়েন। এই জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। টাকারকে দারুণ এক রিভার্স সুইংয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই পেসার।


ইবাদতের ইয়র্কারটি ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাট নিজের বুটে লাগান টাকার। বলটি বাতাসে একটু দেরিতে সুইং করে সেটি টাকারের পায়ে লাগে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টাকার। আম্পায়ারের যৌক্তিক সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। ফেরার আগে ৩১ বলে চারটি চারে ২৮ রান করেন টাকার।


ঠিক পরের বলে জর্জ ডকরেলকে বিদায় করেন ইবাদত। গুড লেংথে করা ভেতরে ঢোকা বলটি ডকরেলের স্টাম্প উপড়ে দেয়। কোনও রান না করেই বিদায় নেন ডকরেল।


এবাদতের এমন বোলিংয়ের পর আবারও আক্রমণে আসেন তাসকিন। ২২তম ওভারে জোড়া উইকেট নেন তিনিও। তাসকিনের দ্রুত ধেয়ে আসা বলটি অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের ব্যাটে লেগে মিড উইকেটে ক্যাচ উঠে যায়। ক্যাচটি লুফে নেন নাসুম আহমেদ।


এর এক বল পর মার্ক অ্যাডায়ারকে ইনসাইড এজে বোল্ড করেন তাসকিন। ম্যাকব্রাইন ১ এবং তাসকিন শূন্য রানে বিদায় নেন। তারপর একাই লড়াই চালিয়ে যান ক্যাম্ফার। তার কল্যাণে একশর কাছাকাছি পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।


এই ব্যাটারকে বিদায় করে নিজের চতুর্থ উইকেট পূরণ করেন হাসান। তরুণ এই পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে তাসকিনের ক্যাচে বিদায় নেন ক্যাম্ফার। ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যাম্ফার। ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।


ইনিংসের ২৯তম ওভারে নিজের পাঁচ নম্বর উইকেট পূর্ণ করেন হাসান। তিন রান করা গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আয়ারল্যান্ড- ১০১/১০ (২৮.১ ওভার) (ক্যাম্ফার ৩৬ , টাকার ২৮; হাসান ৫/৩২, তাসকিন ৩/২৬, ইবাদত ২/২৯)।


বাংলাদেশ- ১০২/০ (১৩.১ ওভার) (লিটন ৫০*, তামিম ৪১) 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball