মঈনের ঘূর্ণিতে চেন্নাইয়ের জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বরুণের সঙ্গে আরো জুটি গড়তে চান মঈন
২৭ মার্চ ২৫
প্রথম ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৩ রান, দুইশ পেরোনো লক্ষ্য তাড়ায় নিশ্চিতভাবেই এর চেয়ে ভালো শুরু করতে পারতেন না লোকেশ রাহুলরা। বেন স্টোকস থেকে দীপক চাহার কিংবা তুষার দেশপাণ্ডে, চেন্নাই সুপার কিংসের পেসারদের ওপর রীতিমতেো তাণ্ডব চালিয়েছেন কাইল মেয়ার্স। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ওপেনারের ব্যাটিং ঝড় থামিয়েছেন মঈন আলী।
তাতেই যেন ছন্দ হারায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। মেয়ার্সের পর মঈন একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন রাহুল, ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং মার্কাস স্টইনিসকে। ইংল্যান্ডের এই অফ স্পিনারের ঘূর্ণির পর নিকোলাস পুরান, আয়ুষ বাদোনিরা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্ণৌকে জেতাতে পারেননি। ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌকে ১২ রানে হারিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয় পেল চেন্নাই।
চেন্নাইয়ে জয়ের জন্য ২১৮ রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌকে প্রত্যাশিত শুরুই এনে দিয়েছিলেন মেয়ার্স। চাহারের প্রথম ওভারে খানিকটা সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার। তবে পরের ওভারে বোলিংয়ে আসা স্টোকসের ওপর চড়াও হন মেয়ার্স। চতুর্থ বলে স্টোকসের লেংথ ডেলিভারিতে চার মারার পরের দুই বলে এনেছেন আরও ১০ রান। ইংলিশ এই পেসারের সেই ওভার থেকে এসেছে মোট ১৮ রান।

পরবর্তীতে মেয়ার্সের তাণ্ডবের সামনে রান বিলিয়ে গেছেন চাহার ও তুষার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মঈনের বলে ৫ রান নিয়ে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। হাফ সেঞ্চুরির পর মেয়ার্সকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মঈন। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেন ২২ বলে ৫৩ রান করা মেয়ার্স।
চেন্নাইয়ের বিদায়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অশ্বিন
২৮ মে ২৫
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দীপক হুডা। তরুণ এই ব্যাটারকে ইনিংস বড় করতে দেননি মিচেল স্যান্টনার। বাঁহাতি এই স্পিনারের পঞ্চম স্টাম্পের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ১৮ বলে ২০ রান করা রাহুলকে আউট করেছেন মঈন।
মাঝে পান্ডিয়া ও স্টইনিস জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা বড় করতে দেননি মঈন। ইংলিশ এই অফ স্পিনারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৯ রান করা পান্ডিয়া। আর ১৮ বলে ২১ রান করা স্টেইনিস সাজঘরে ফিরেছেন মঈনের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে।
এরপর পুরানের ১৮ বলে ৩২ রানের ক্যামিও, বাদোনির ১৮ বলে ২৩ রান কেবল লক্ষ্ণৌর হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে লক্ষ্ণৌ থেমেছে ২০৫ রানে। চেন্নাইয়ের হয়ে মঈন ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া তুষার দুটি উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৭ রান তোলে চেন্নাই। স্বাগতিকদের হয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৫৭, কনওয়ে ৪৭, শিভাম দুবে ২৭ এবং আম্বাতি রাইডু করেছেন ২৭ রান। লক্ষ্ণৌর হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রবি বিষ্ণই।