অখ্যাত সুয়াশ মাতালেন ইডেন গার্ডেন্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ ছিল’
২৬ মে ২৫
কাঁধ পর্যন্ত চুল, বয়স মাত্র ১৯। যারা আইপিএলের খুঁটিনাটি খোঁজ খবর রাখেন না তারা সুয়াশ শর্মাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বোলিং করতে দেখে ভিমড়ি খেতে পারেন। এই স্পিনার কলকাতার প্রথম একাদশে ছিলেন না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং ইনিংসের সময় ইম্পেক্ট ক্রিকেটার হিসেবে ভেঙ্কাটেস আইয়ারের পরিবর্তে মাঠে নামেন তিনি।
লেগ ব্রেক এই বোলার প্রায় সবার কাছেই ছিলেন অপরিচিত। নিজের দ্বিতীয় বলেই জাত চেনালেন তিনি। দারুণ এক টসড আপ ডেলিভারিতে এই স্পিনার ভড়কে দেন অনুজ রাওয়াতকে। বেঙ্গালুরুর এই ব্যাটারকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লোভ দেখিয়ে আউট করেছেন আরেক ব্যাটার দীনেশ কার্তিককেও।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তিনি ফিরিয়েছেন কর্ন শর্মাকে। দিন শেষে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪ ওভার শেষে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। তার এমন বোলিং দেখে অনেকেই হয়তো ক্রিকইনফোতে গিয়ে তার প্রোফাইল ঘাটছিলেন। কিন্তু তার কোনো প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচের পরিসংখ্যান ছিল না কোথাও। সব ছিল শূন্য।
সুয়াশ মূলত বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই প্রতিযোগীতা মূলক ক্রিকেটে অভিষেক করেছেন। দিল্লিতে বড় হওয়া সুয়াশের খেলার অভিজ্ঞতা বলতে অনূর্ধ্ব-২৫ রাজ্য দল। এরপর তিনি সরাসরি ডাক পান কলকাতার ক্যাম্পে। নিলাম থেকে তাকে মাত্র ২০ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায় আইপিএলের দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের পর কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ রানাও সুয়াশকে নিয়ে খুব বেশি তথ্য দিতে পারলেন না। তিনি বলেন, 'আমি নিজেও জানি না ও কোথা থেকে এসেছে। দিল্লির ছেলে সে, কিন্তু আমি কখনও ওকে দেখিনি। তবে খুব মজার ছেলে। সব সময় মাতিয়ে রাখে।'
অবশ্য ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আঁতুড়ঘরও চেনা আছে কলকাতার কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের। তিনি সুয়াশকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বললেন, 'সুয়াশ ট্রায়ালে এসেছিল। সেখানেই দেখি যে ও দুই দিকেই বল ঘোরাতে পারে। সেই দেখেই তাকে নৎয়া। অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু প্রতিভা রয়েছে সুয়াশের মধ্যে।'