কোহলি-ডু প্লেসিদের ‘বল নষ্টের’ ইনিংসগুলো পছন্দ হয়নি ডুল-হার্শার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দিল্লির সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে ডু প্লেসি
১৭ মার্চ ২৫
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে ২১২ রান তুলেও জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই হারের দায় দলটির দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসি এবং বিরাট কোহলিকেই দিচ্ছেন ধারাভাষ্যকাররা। ম্যাচ চলাকালেই এই ইনিংসগুলো নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় সাইমন ডুল এবং হার্শা ভোগলেকে।
ম্যাচে চারটি ছক্কা এবং চারটি চারে ৪৪ বলে ৬১ রান করেন কোহলি। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৮.৬৩! বর্তমানের টি-টোয়েন্টির যুগে এই ইনিংসকে অসাধারণ বলবে যে কেউ! কিন্তু ম্যাচে দেখা যায়, ৪২ রান থেকে ৫০ রানে পৌঁছাতে ১০ বল খেলে ফেলেন কোহলি!

অর্থাৎ, ইনিংস শেষের স্ট্রাইক রেট বেশি হলেও মাঝের দিকটায় তুলনামূলকভাবে বেশি বল খেলে ফেলেন কোহলি। আর এটাই পছন্দ হয়নি ডুলের। তার মতে, সেই সময়টায় ব্যক্তিগত লক্ষ্যেই চোখ ছিল কোহলির।
১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারল কোহলিরা
২৪ মে ২৫
তিনি বলেন, ‘শুরুতে কোহলির ইনিংসের গতি ছিল ট্রেনের মতো। অনেক শট খেলছিল। তবে ৪২ থেকে ৫০ রানে যেতে কোহলি ১০ বল খেলেছে। মাইলফলকের কথা ভেবেছে। আমার মনে হয় না এখন আর খেলায় এসবের কোনো জায়গা আছে।’
এদিকে ডু প্লেসি গতকাল খেলেন ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম ৩০ বলে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক করেছিলেন মাত্র ৩৩ রান! এই ইনিংস দেখে, প্রথমে নষ্ট করা এই বলগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন হার্শাও।
জনপ্রিয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার কোহলি-ডু প্লেসিদের ইনিংসের সমালোচনায় বলেন, ‘এই খেলাটাই বলে দেয় স্ট্রাইক রেট নিয়ে এত দিন আমরা কী আলোচনা করছি। কোহলি ৪৪ বলে ৬১ রান, তার স্ট্রাইক রেট ১৩৯, শেষ ১৫ বলে করেছিল ১৬ রান। ডু প্লেসি ৪৬ বলে ৭৯, স্ট্রাইক রেট ১৭২, তবে প্রথম ৩০ বলে করেছিল ৩৩ রান। এই বলগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না। বেঙ্গালুরু জয়ের জন্য যথেষ্ট সংগ্রহ পায়নি। আর আলোচনাটা ইনিংস শেষ ব্যাটসম্যানের কত স্ট্রাইক রেট থাকল, তা নিয়ে নয়।’