১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারল কোহলিরা

ছবি: বল হাতে সানরাইজার্সের জয়ের নায়ক প্যাট কামিন্স, বিসিসিআই

রজত ফেরারের ওভারে ইশান মালিঙ্গার ওভারে আউট হলেন মারকুটে শেফার্ডও। পরের ওভারে জয়দেব উনাদকাটকে উইকেট দিয়ে গেছেন দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা জিতেশও। চাপের মুখে কিছুই করতে পারলেন না ডেভিড, ক্রুনালরা। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে শেষের ৭ উইকেট হারিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে বেঙ্গালুরু। প্যাট কামিন্সের দলের কাছে ৪২ রানে হেরে যাওয়া সেরা দুইয়ে থাকার সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেল কোহলি-রজতদের জন্য।
সেরা দুইয়ে থাকলে লাভের সঙ্গে লসও হবে বেঙ্গালুরুর
১৫ ঘন্টা আগে
একানা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৩১ রান তাড়ায় একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন কোহলি। ডানহাতি ব্যাটার দ্রুত রান করলেও অন্যপ্রান্তে থাকা সল্ট খানিকটা রয়েসয়েই খেলছিলেন। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। পাওয়ার প্লে শেষে কোহলি ও সল্টের ৮০ রানের জুটি ভাঙেন হার্শ দুবে। বাঁহাতি স্পিনারের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কোহলি।
দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পথে থাকলেও কেহলিকে ফিরতে হয়েছে ২৫ বলে ৪৩ রান করে। কোহলি আউট হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন সল্ট। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়াল। নীতিশ রেড্ডির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলার চেষ্টায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। একটু পর আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান সল্টও।

কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন হার্শাল প্যাটেলের হাতে। ৫ ছক্কা ও ৪ চারে ৩২ বলে ৬২ রান করে আউট হয়েছেন সল্ট। পরবর্তীতে জুটি গড়ে আশা দেখিয়েছিলেন জিতেশ ও রজত। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নেমে রজত ১৮ রান করেছেন। জিতেশের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান। শেষের দিকে শেফার্ড, ডেভিডরা দাঁড়াতে না পারায় ১৮৯ রানে থামতে হয় বেঙ্গালুরুকে। হায়দরাবাদের হয়ে কামিন্স তিনটি ও মালিঙ্গা দুটি উইকেট নিয়েছেন।
চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছেন হ্যাজেলউড
২০ ঘন্টা আগে
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দরাবাদকে ভালো শুরু আভাসই দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড। একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টায় ছিলেন তারা দুজন। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন লুঙ্গি এনগিদি। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৭ বলে ৩৪ রান করা অভিষেক। পরের ওভারে আউট হয়েছেন হেডও।
ভুবনেশ্বর কুমারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন শেফার্ডের হাতে ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর হেনরিখ ক্লাসেন ও ইশান কিশান মিলে জুটি গড়েন। তারা দুজনও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়েই প্রভাব বিস্তার করছিলেন। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভেঙেছে ক্লাসেনের বিদায়ে। সুয়াশ শর্মার ফুলার ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে শেফার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ২৪ রান করা ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
অনিকেত ভার্মাও দারুণ শুরুই পেয়েছিলেন। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩ ছক্কায় ৯ বলে ২৬ রান করা অনিকেতকে বিদায় করেছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। বাঁহাতি স্পিনারের বলে আড়াআড়িভাবে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ভুবনেশ্বরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দ্রুতই ফিরে গেছেন নীতিশ রেড্ডি ও অভিনব মনোহর। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইশান।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অধিনায়ক কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে দুইশ পার করেছেন অনায়াসে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে হায়দরাবাদ। সেঞ্চুরি না পেলেও ৫ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ইশান। বেঙ্গালুরুর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শেফার্ড। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ভুবনেশ্বর, এনগিদি, ক্রুনাল এবং সুয়াশ।