promotional_ad

'ক্রিকেটারদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয় না আইপিএল'

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

বেঙ্গালুরুকে সেরা দুইয়ে তুলে ‘গুরু’ কার্তিককে কৃতিত্ব দিলেন জিতেশ

৮ ঘন্টা আগে
বেঙ্গালুরুকে জিতিয়ে নায়ক জিতেশ শর্মা, বিসিসিআই

দুদিন আগেই ললিত মোদি জানিয়েছিলেন আমেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগকে (এনএফএল) ছাড়িয়ে দ্রুতই বিশ্বের এক নম্বর লিগ হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। জনপ্রিয়তা ও আর্থিক কাঠামোর কল্যাণে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।


এরই মধ্যে আইপিএল নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ক্রিকেটার্স প্লেয়ার্স ইউনিয়ন। সংগঠনটির প্রধান টম মোফাট জানিয়েছেন বিশ্বের অন্য জনপ্রিয় স্পোর্টস লিগগুলোর তুলনায় আইপিএলের লভ্যাংশের অনেক কম অর্থ দেয়া হয় ক্রিকেটারদের।


তারা উদাহরণ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ, মেজর লিগ বেসবল (এমএলবি) ও ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এনবিএ) তুলনা টেনেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ ফুলবল লভ্যাংশের সর্বোচ্চ ৭১ শতাংশ অর্থ খেলোয়াড়দের দিয়ে থাকে। এমএলবি ৫৪ শতাংশ, ন্যাশনাল হকি লিগ (এনএইচএল) ৫০ শতাংশ, এনএফএল ৪৮ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে। সেই তুলনায় আইপিএল লভ্যাংশের মাত্র ১৮ শতাংশ দিয়ে থাকে ক্রিকেটারদের।


promotional_ad

এ প্রসঙ্গে মোফাট বলেছেন, 'খেলোয়াড়রা আইপিএল খেলতে পছন্দ করে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনি যদি তুলনামূলকভাবে এটি দেখেন, টুর্নামেন্ট থেকে আয় করা অর্থের লভ্যাংশ অন্যান্য স্পোর্টস লিগের তুলনায় অনেক কম পেয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা।'


ভবিষ্যতে আইপিএলেও ক্রিকেটারদেরও পারিশ্রমিক বাড়বে বলে আশাবাদী মোফাট। তিনি বলেন, 'আইপিএল খেলাটিকে বদলে দিয়েছে এবং বিসিসিআই দারুণ কাজ করেছে। আইপিএল বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পোর্টিং কম্পিটিশন এবং এটি প্রতিটি ম্যাচের মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা আইপিএল এবং নারী আইপিএলের সফল হতে দেখার জন্য এবং খেলোয়াড়দের ন্যায্য ও আনুপাতিক অর্থ প্রদানের জন্য আশাবাদী।'


ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনে (এফআইসিএ) আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জড়িত আছে ৭টি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশ। যদিও এই সংগঠনে নেই ভারত। কারণ দেশটির ক্রিকেটারদের কোনো অ্যাসোসিয়েশনই নেই।


এ কারণেই ক্রিকেটারদের আইপিএলের লভ্যাংশ বেশি পাওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা মনে করছে প্লেয়ার্স ইউনিয়ন। চলতি বছর আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৩৪ কোটি টাকা প্রায় আয় করবে। তারা আইপিএলের মোট আয়ের ৫০ শতাংশ পেয়ে থাকে। এর বাইরে প্রায় ৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬ কোটি টাকা গেট রেভিনিউ, স্পন্সরশিপ ও মার্চেন্ডাইজ সেলস থেকে পেতে পারে দলগুলো।


সব মিলিয়ে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি টাকা পেতে পারে আইপিএলে অংশ নেয়া দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলগুলো আরও বেশি করে অর্থ আয় করতে পারে। এমনকি বিসিসিআইয়ের লভ্যাংশ পাওয়ার পরেও দলগুলো ক্রিকেটারদের ১৮ শতাংশ লভ্যাংশ শেয়ার করে। এই বিষয়টি নিয়েই আপত্তি গ্লোবাল ক্রিকেটার্স প্লেয়ার্স ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball