বেঙ্গালুরুকে সেরা দুইয়ে তুলে ‘গুরু’ কার্তিককে কৃতিত্ব দিলেন জিতেশ

ছবি: বেঙ্গালুরুকে জিতিয়ে নায়ক জিতেশ শর্মা, বিসিসিআই

সেরা দুইয়ে থাকতে হলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হারাতেই হতো বেঙ্গালুরু। এমন ম্যাচে তাদের গলার কাঁটা হয়ে উঠেন ঋষভ পান্ত। লক্ষ্ণৌর অধিনায়কের ৮ ছক্কা ও ১১ চারে ৬১ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংসে ২২৭ রানের পুঁজি পায় তাড়া। আইপিএল এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই বেঙ্গালুরু। তবে দুইশর বেশি রান তাড়ায় ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলির ব্যাটে প্রত্যাশিত শুরুই পায় তারা। সল্টের বিদায়ে ভাঙে কোহলির সঙ্গে ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পান্তের সেঞ্চুরি ম্লান করে জিতেশের ঝড়, সেরা দুইয়ে থেকে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
২৮ মে ২৫
কোহলি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও দ্রুতই ফেরেন রজত পাতিদার। একই ওভারে আউট হয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোনও। হাফ সেঞ্চুরিয়ান কোহলি যখন ৫৪ রানে ফিরলেন তখনও বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ৫২ বলে ১০৫ রান। এমন সময় ব্যাটিংয়ে এসে আগারওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরুকে টানতে থাকেন জিতেশ। পরবর্তীতে মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি আগাওয়ালের সঙ্গে গড়েছেন ১০৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

নিজেদের ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে সেরা দুইয়েও উঠে যায় বেঙ্গালুরু। দলকে জেতানোর পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জিতেশ বলেন, ‘আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, এমন একটা ইনিংস খেলেছি। আমি (অন্য সব চিন্তা দূরে রেখে) কেবল ওই মুহূর্তে নিবিষ্ট থাকতে এবং যতটা সম্ভব কাছ থেকে বল দেখার চেষ্টা করছিলাম।’
পাঞ্জাবকে গুঁড়িয়ে আইপিএল ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু
৫ ঘন্টা আগে
কোহলি ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি দ্রুতই তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলায় কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না বেঙ্গালুরুর জন্য। তবে উইকেটে গিয়ে বেশি কিছু চিন্তা না করে বেঙ্গালুরুর মেন্টর কার্তিকের পরামর্শ মেনে চলেছেন তিনি। ম্যাচ গভীরে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এবং যেকোন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ শেষ করার সামর্থ্যে বিশ্বাস করেই নায়ক বনে গেছেন জিতেশ।
তিনি বলেন, ‘আমি তখন কিছুই ভাবছিলাম না। ভিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর আমি ম্যাচ গভীরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার মেন্টর, গুরু দীনেশ কার্তিক আমাকে বলেছিলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে, তোমাকে ম্যাচ গভীরে নিতে হবে, আর তোমার এমন দক্ষতা আছে যে, তুমি যেকোনো সময় ম্যাচ শেষ করতে পারো।’