দলকে জিতিয়ে মহসিন বললেন, ‘বাবার জন্য খেলছিলাম’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএল শেষ মহসিনের, লক্ষ্ণৌতে শার্দুল ঠাকুর
২৩ মার্চ ২৫
ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। নাভিন উল হকের এক ওভারে ১৯ রান নিয়ে কঠিন সমীকরণ প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিলেন টিম ডেভিড ও ক্যামেরন গ্রিন। তবে শেষ ওভারে গিয়ে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে দেননি মহসিন খান। গ্রিনকে ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি দিয়ে ২০তম ওভারটা শুরু করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
এরপর স্লোয়ার, লেংথ ডেলিভারি, দুর্দান্ত ইয়র্কারের সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সেই ওভারে দিয়েছেন মোটে ৫ রান। মহসিনের এমন দারুণ বোলিংয়ে ৫ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। তাতে মুম্বাইকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে তারা। শেষ ওভারে দলকে জিতিয়ে অসুস্থ বাবাকে জয় উৎসর্গ করলেন মহসিন।

এদিন আগে ব্যাটিং করে মার্কোস স্টইনিসের ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৯ আর ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪৯ রানের সুবাদে ১৭৭ রানের পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ। এমন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করেছিলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেছিলেন ৯০ রান।
পান্তের সামর্থ্য নিয়ে কখনই সন্দেহ ছিল না: জহির
১২ ঘন্টা আগে
রোহিত বিদায় নেয়ার পর ৫৭ বলে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান। হাফ সেঞ্চুরির পর ইশান আর শুরুতেই সুর্যকুমার যাদব, নেহাল ওয়াধেরারা ফিরলেও কঠিন হয়ে উঠে সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে হারতে হয় মুম্বাইকে।
এদিকে চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর ফিরে আগে ম্যাচে ৩ ওভারে ৪২ রান দিয়েছিলেন মহসিন। তবুও তার উপর আস্থা হারায়নি লক্ষ্ণৌ। এদিন প্রথম দুই ওভারে ২১ দিলেও শেষ ওভারে তাকে নিয়েই বাজি ধরেন অধিনায়ক ক্রুনাল। মহসিনের দারুণ বোলিংয়ে সেই বাজি জিতেছে তারা। এমন বোলিং দেখে তার অসুস্থ বাবা খুশি হয়েছেন বলে ধারণা মহসিনের।
বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন। গতকালই তিনি ছাড়া পেয়েছেন। ম্যাচটি আমি খেলছিলাম বাবার জন্য। বাবা হয়তো টিভিতে ম্যাচটি দেখছিলেন। তার জন্যই খেলছিলাম আমি। ১০ দিন ধরে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। আজকে আমার ওভারটি দেখে হয়তো তিনি হয়তো অনেক খুশি হয়েছেন।’
আগের ম্যাচে বাজে বোলিং করার পরও দল ভরসা রাখায় খুশি তিনি। মহসিন বলেন, ‘ভালো লাগছে যে দলের ভরসার প্রতিদান দিতে পেরেছি। আগের ম্যাচে বাজে বোলিং করার পরও এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছে আমাকে। শেষ ওভারে বোলিং দেওয়া হয়েছে…। এক বছর পর খেলছি আমি। মাঝের সময়টায় ইনজুরিতে ছিলাম। সময়টা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। গতবছর যেভাবে বোলিং করেছিলাম, আজকে মনে হয়েছে যে ওভাবে করতে পেরেছি, এজন্যই আমি খুশি।’