১৭ বার আউট করে ব্রড বলছেন, ‘ওয়ার্নারকে বল করা কঠিন’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে স্টোকসকে চান না ব্রড
১৪ মার্চ ২৫
এক-দুবার নয় নিজের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৭ বার ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। প্রতি অ্যাশেজেই ওয়ার্নারকে বিপদে ফেলেন ব্রড। চলতি অ্যাশেজেও চিত্রটা একই, হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই ওয়ার্নার আউট হয়েছেন ব্রডের বলে। ওয়ার্নারকে এতো বেশি আউট করেও ব্রডের উপলদ্ধি, 'ওয়ার্নারকে বোলিং করা অনেক কঠিন।'
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে জয়ের দেখা পেয়েও সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। কিন্ত বল হাতে এখনও উত্তাপ ছড়াচ্ছে ব্রড, সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটে শিকারি তিনিই। ২৪.৯৪ গড়ে এখনো পর্যন্ত উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। যার মধ্যে ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন তিন বার।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ইয়ান হিলি বলেছিলেন ব্রডের বোলিংয়ে অস্থির হয়ে গেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের অনেক সাবেক ক্রিকেটারও এই বিষয়ে নানান সময়ে ভর্ৎসনা করেছেন ওয়ার্নারকে। যদিও ব্রডের কণ্ঠে ভিন্ন সূর।
‘ট্রফি না জিতলে এক মৌসুমে ৬০০—৭০০ রান করার দাম নেই’
১ মে ২৫
দ্য ডেইলি মেইলে নিজের কলামে ব্রড লিখেন, 'সত্য হলো আমি সবসময়ই ডেভির (ওয়ার্নার) বিপক্ষে বোলিং করা কঠিন বলে মনে করেছি এবং এখনও এমনটাই মনে করি। মূলত আমি অফ স্টাম্পের বাইরে তার পছন্দের জায়গায় বোলিং করা কমিয়ে এনেছি। আমি তাকে ফুল লেংথে বোলিং করার চেষ্টা করেছি, যাতে সে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বল বাধ্য হয়।'
ডানহাতি পেসার জানিয়েছেন, একসময় ওয়ার্নার তাকে পিছনের পায়ে ভর করে কভার অঞ্চলের মধ্য দিয়ে খেলতেন। ব্রডের সাবেক কোচ ওটিস গিবসন এই সমস্যার সমাধান পেতে তাকে সহায়তা করেছিলেন।
'সে (ওয়ার্নার) একটু পিছনে এসে সর্বদা অফ সাইড দিয়ে আমাকে শট মারতো, ২০১৫ সালের অ্যাশেজের আগে আমাদের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন দেখিয়েছিলেন বাঁ হাতিদের বিপক্ষে আমার গড় অনেক বেশি।'
'অ্যাশেজের সেই মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলে বাঁ হাতি ব্যাটারে পরিপূর্ণ ছিল, ফলে ওটিস আমাকে বলেছিল যে, আমি যদি তাদের বিপক্ষে বল করার উপায় না পাই, তবে আমি দলের বাইরে থাকব।'