হেনরি-ফকসের ৯ উইকেট, টেলরের প্রত্যাবর্তন ম্লান করে নিউজিল্যান্ডের লিড

ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

বুলাওয়েতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া জিম্বাবুয়ের হয়ে ওপেনিংয়ে আসেন টেলর ও ব্রায়ান বেনেট। টেস্ট ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চারে খেললেও কিউইদের বিপক্ষে তাকে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পাঠানো হয়। তবে দুজনের জুটি জমে উঠতে দেননি ম্যাট হেনরি। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট সাইড এজ হয়ে দ্বিতীয় স্লিপে উইল ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। তিনে নামা নিক ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন টেলর। তাদের দুজনের জুটি লম্বা সময় টিকলেও প্রত্যাশিতভাবে রান আসেনি।
অন্ধকার পেরিয়ে টেলরের ‘অভিষেকের’ আনন্দ
৭ আগস্ট ২৫
৩১ বলে ১১ রান করা ওয়েলচকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে আবারও জুটি ভাঙেন হেনরি। একটু পর শন উইলিয়ামসের উইকেট নিয়েছেন জাকারি ফকস। টেস্ট অভিষেকেই বাঁহাতি ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন তিনি। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন ক্রেইগ আরভিনও। ৭ রান করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের উইকেটও নিয়েছেন ফকসই। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন টেলর। যদিও প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ডানহাতি ওপেনারের।

হেনরি অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকফুটে খেলার চেষ্টায় এক্সট্রা কভারে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৬ চারে ১০৭ বলে ৪৪ রান করেছেন টেলর। দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন সিকান্দার রাজা, ট্রেভর গুয়ান্দো, ভিনসেন্ট মাসেকেসা। শেষের দিকে তাফাদজাওয়া সিগার ৩৩ রান ছাড়া বাকিরা কেউই কিছু করতে পারেনি। কিউইদের পেস আগুনে পুড়ে ১২৫ রানে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে হেনরি ৫ ও ফকস চারটি উইকেট নিয়েছেন।
ফকসের ‘৯ উইকেটে’ নিউজিল্যান্ডের ৩৫৯ রানের জয়
৯ আগস্ট ২৫
জিম্বাবুয়েকে ১২৫ রানে থামিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কনওয়ে এবং ইয়াং। তাদের দুজনের ব্যাটে ১৮.৩ ওভারেই একশ রান ছুঁয়ে ফেলে কিউইরা। ৯ চারে ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন ইয়াং। আরেক ওপেনার কনওয়ে অবশ্য একটু রয়েসয়েই খেলছিলেন।
ছয়টি চার মারলেও পঞ্চাশ ছুঁতে বাঁহাতি ব্যাটারকে খেলতে হয়েছে ৮১ বল। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে এসে তাদের দুজনের ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন গুয়ান্দো। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ১১ চারে ১০১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলা ইয়াং। ডাফিকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন কনওয়ে। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত আছেন ১২০ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে। তাকে সঙ্গ দেয়া ডাফি আছেন ৮ রানে।