ফকসের ‘৯ উইকেটে’ নিউজিল্যান্ডের ৩৫৯ রানের জয়

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসের দেড়শ ছোঁয়া ইনিংসে ছয়শ ছাড়িয়ে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। বুলাওয়েতে ইনিংস হার এড়াতে ৪৭৬ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ে। অথচ দুইশও কাছেও যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া জাকারি ফকস দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন আরও ৫ উইকেট। ডানহাতি পেসারের এমন বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ১১৭ রান। ইনিংস ও ৩৫৯ রানে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

promotional_ad

নিজেদের ইতিহাসে ইনিংস ব্যবধানে এটিই তাদের সবচেয়ে জয়। কিউইদের চেয়ে ইনিংস ও বেশি রানে জয়ের রেকর্ড আছে কেবল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের। ১৯৩৮ সালে দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ৫৭৯ রানের জয় পেয়েছিল ইংলিশরা। ২০০২ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ৩৬০ রানে জয়ের রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার। রানের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের এটি সবচেয়ে বড় হারও। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছেই ইনিংস ও ৩০১ রানের হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। টানা দুই টেস্ট জিতে স্বাগতিকদের হোয়াইওয়াশ করেছে কিউইরা।


আরো পড়ুন

স্মিথের চোটে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে ফকস

৩ আগস্ট ২৫
ফাইল ছবি

বুলাওয়েতে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই আউট হয়েছেন ব্রায়ান বেনেট। ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর ফিরেছেন পঞ্চম ওভারে হেনরির বলে উইল ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে। সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন ৭ রানে। পরের ওভারে ফিরেছেন শন উইলিয়াসও।


promotional_ad

জ্যাকব ডাফির বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রানে। নিক ওয়েলচ ও ক্রেইগ আরভিন মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা বড় হয়নি। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগেই ১৭ রান করা আরভিনকে আউট করেছেন ম্যাথু ফিশার। ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন সিকান্দার রাজা। ফকসের বলে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে করেছেন ২ বলে ৪ রান। পরের ব্যাটারদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি।


আরো পড়ুন

কনওয়ে-নিকোলস-রাচিনের নৈপুণ্যে কিউইদের ছয়শ পার

৯ আগস্ট ২৫
সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়ছেন ডেভন কনওয়ে, ফাইল ফটো

তাফাদজাওয়া সিগা, ভিনসেন্ট মাসেকেসা, ট্রেভর গুয়ান্দো, ব্লেসিং মুজারাবানিরা আউট হয়েছেন জিম্বাবুয়ের রান একশ ছোঁয়ার আগেই। শেষ ব্যাটার হিসেবে তানাকা শিভাঙ্গাকে ফিরলে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সবার ব্যর্থতার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওয়েলচ। ৭ চারে ৭১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ফকস। দুইটি করে উইকেট শিকার হেনরি ও ডাফির।


কনওয়ে ১৫৩, ইয়াং ৭৪, নিকোলস অপরাজিত ১৫০ ও রাচিনের অপরাজিত ১৬৫ রানের ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০১ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। তাদের এমন ব্যাটিংয়ে প্রায় পাঁচশর কাছে লিড পাওয়ায় তৃতীয় দিনের সকালে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি সফরকারীরা। ৪৭৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball